গোপালগঞ্জে ইভটিজিংয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সংবাদকর্মীসহ প্রায় ২৫ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল রোববার (২১ নভেম্বর) রাত ৯টা থেকে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। এরপর দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। পরে রাত পৌনে ১টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় পুলিশ।
শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. জাকির হোসেন বলেন, মেডিকেল কলেজের ছাত্রীদের বশেমুরবিপ্রবির ছাত্ররা ইভটিজিং করাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের সূচনা হয়। মেডিকেল কলেজের মাঠে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্রিকেট খেলে থাকে। এ সময়ে মাঠের পাশ দিয়ে মেডিকেলের ছাত্রীরা গেলে তাদের উদ্দেশ্য করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা নানান মন্তব্য করাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা ছাত্রীদেরকে ইভটিজিংয়ের ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, আমাদের মাঠে খেলতে দেবে না বলে এ ঘটনা সাজানো হয়েছে।
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. খায়রুল আলম বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।