রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে আটকের পর পুরনো একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। বুধবার (৬ই এপ্রিল) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে বুধবার (০৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মতিঝিলের ঘরোয়া হোটেলের সামনে থেকে তাকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে শ্রমিক দলের লিফলেট বিতরণের সময় আটক করা হয়।
বিএনপি সূত্র জানায়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে প্রচারপত্র বিলি করছিলেন ইশরাক হোসেন। এ সময় তাকে আটক করা হয়। জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ঢাকা দক্ষিণের উদ্যোগে জনসচেতনতামূলক এই প্রচারপত্র বিতরণ করা হচ্ছিল। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) এনামুল হক মিঠু সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, “ইশরাকের বিরুদ্ধে অগ্নিসংযোগের পুরোনো একটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। সেই পরোয়ানার ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা গেছে, এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। উচ্চ আদালতের আদেশ মোতাবেক আত্মসমর্পণ না করায় ২০২১ সালের ১৮ আগস্ট তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন। ২৬ মে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রয়াত মেয়র সাদেক হোসেন খোকার বড় ছেলে ইশরাক হোসেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির এক নম্বর সদস্য। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ধানের প্রতীকে তিনি মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন।
এদিকে, সরকার বিরোধী আন্দোলনের ভয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।