বাবার সম্পত্তি পুনরুদ্ধার এবং ঢাকা-১৪ আসনে বিএনপি প্রার্থী সানজিদা ইসলাম তুলিকে সমর্থন জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন প্রয়াত পাঁচবারের এমপি এসএ খালেকের ছেলে, কানাডা প্রবাসী সৈয়দ মহসীন। মঙ্গলবার তার এ চিঠি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে বিষয়টি নিশ্চিতও করেন তিনি।
চিঠিতে তিনি লেখেন, ঢাকা-১৪ আসনে ‘মায়ের ডাক’-এর সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম তুলিকে প্রার্থী করায় বিএনপির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তুলি গুমের শিকার স্বজনদের আন্দোলনকে দেশ-বিদেশে তুলে ধরেছেন। তার মধ্যে জিয়াউর রহমানের সততা, খালেদা জিয়ার সাহস ও আপনার (তারেক রহমান) নিষ্ঠার প্রতিচ্ছবি দেখি। ধানের শীষের পরিবার হিসেবে আমরা তাকে বিজয়ী করতে সর্বাত্মকভাবে কাজ করব।
চিঠিতে নিজের ছোট ভাই দারুসসালাম থানার আহ্বায়ক এসএস সিদ্দিক সাজুর কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করেন মহসীন। তিনি অভিযোগ করেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সাজু তুলি-বিরোধী মশাল মিছিলসহ বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছেন, যা বিএনপি নেতৃত্বের প্রতি অসম্মান ছাড়া আর কিছু নয়।
পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে অভিযোগ তুলে তিনি জানান, অসুস্থ অবস্থায় থাকা তাদের বাবা এসএ খালেকের গাবতলী এলাকার ২১ বিঘা জমি—যার বাজারমূল্য প্রায় ৮০০ কোটি টাকা—গত দুই বছরে ‘কাকতলীয়ভাবে’ সাজুর তত্ত্বাবধানে বিক্রি হয়ে গেছে। অনেক জমি নাকি বাবার ‘টিপ সইয়ে’ বিক্রির নথি তৈরি করা হয় এবং কিছু অংশ সাজুর নামে ‘হেবা’ দেখানো হয়।
মহসীন দাবি করেন, শয্যাশায়ী অবস্থায় বাবা কখনোই একমাত্র ছেলের নামে শত কোটি টাকার সম্পত্তি হেবা করতেন না। বঞ্চিত ভাই-বোনেরা এ বিষয়ে দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা করলেও সাজুর রাজনৈতিক প্রভাব ও অর্থবলের কারণে তদন্ত বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ ছাড়া দারুসসালামের লিজ নেওয়া পেট্রোল পাম্পের মাসিক প্রায় ৫০ লাখ টাকা আয় এককভাবে ভোগ করছেন সাজু—এ অভিযোগও চিঠিতে তুলে ধরেন তিনি।
মহসীন তারেক রহমানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “খালেক পরিবার ধানের শীষের পরিবার। সাজু আমাদের পরিবারের মুখ নয়। আমরা ন্যায়বিচার চাই এবং প্রার্থী তুলির বিরুদ্ধে কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে খালেক পরিবারের সম্পর্ক নেই, ভবিষ্যতেও থাকবে না।”