জুলাই আন্দোলনে ভারগো গার্মেন্টসের এক্সিকিউটিভ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মো. সোহান শাহ হত্যা মামলা থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজজিস্ট্রেট মো. জামসেদ আলম এ অব্যাহতির আদেশ দিয়েছেন।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, র্যাব-৩-এর উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোস্তাফিজুর রহমান তদন্তে সাক্ষ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৩(ক) ধারায় অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদনে বশিরউদ্দীনকে অব্যাহতির আবেদন করেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ‘এই মামলার ঘটনার সঙ্গে আসামি বশিরউদ্দীনের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তাকে মামলা দায় থেকে অব্যাহতি প্রার্থনা করছি।’ মঙ্গলবার আদালত ওই প্রতিবেদন গ্রহন করে অব্যাহতির আদেশ দেন।
জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছর ১৯ জুলাই রামপুরার সিএনজি স্টেশনের সামনে গুলিতে আহত হন মো. সোহান শাহ (৩০)। এরপর ওই বছর ২৮ অগাস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় ওই বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫৭ জনের নামে আদালতে মামলা করেন সোহানের মা সুফিয়া বেগম।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনুর রশিদ, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার বিশ্বাস, সাবেক এসবিপ্রধান মনিরুল ইসলাম, নরসিংদী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম হিরু, নরসিংদী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ার আশরাফ খান দিলীপ, ঢাকা-১৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, শেখ হাসিনার সাবেক এপিএস-২ ও সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর।
সোহান হত্যা মামলায় এজাহারের ৪৯ নম্বর আসামি হিসেবে নাম আসে শেখ বশির উদ্দিন ভূঁইয়ার। তার পরিচয়ে বলা হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা। ঠিক তার আগের নামটি অর্থাৎ ৪৮ নম্বর আসামি করা হয়েছে যশোর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন ভূঁইয়াকে। দুই জনের পিতার নাম দেওয়া হয়েছে শেখ আকিজ উদ্দিন ভূঁইয়া। তাদের দুজনের ঠিকানাও দেওয়া হয়েছে একই।