সুগন্ধি ব্যবহার এখন কেবল ব্যক্তিগত পছন্দ নয়, বরং ফ্যাশনেরও অংশ। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, একই সুগন্ধি সারা বছর ব্যবহার না করে ঋতুভেদে সুগন্ধি পরিবর্তন করা উচিত। কারণ, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ও ত্বকের রাসায়নিক পরিবর্তনের কারণে প্রতিটি ঋতুতে একই সুগন্ধি ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া করে।
ফ্যাশন বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি গ্রীষ্মকালীন সুগন্ধি শীতকালের সঙ্গে কখনোই মানিয়ে যায় না। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের আর্দ্রতা, ত্বকের তেলের পরিমাণ ও পরিবেশের গন্ধের ঘনত্বও বদলে যায়। এসব বিষয়ই নির্ধারণ করে, একটি সুগন্ধি শরীরে কতক্ষণ স্থায়ী হবে এবং কেমন ঘ্রাণ ছড়াবে।
গ্রীষ্মকাল: হালকা ও সতেজ সুগন্ধি
গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বেশি থাকায় ভারী বা ঝাঁজালো সুগন্ধি অনেক সময় তীব্র মনে হয়। এ সময় ফল বা ফুলের ঘ্রাণযুক্ত হালকা সুগন্ধি যেমন- লেমন, অরেঞ্জ, ল্যাভেন্ডার বা জেসমিন ঘ্রাণযুক্ত পারফিউম ব্যবহার করা ভালো। এগুলো শরীরে সতেজতা ও শীতল অনুভূতি এনে দেয়।
শীতকাল: গভীর ও ঝাঁজালো সুগন্ধি
শীতকালে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় সুগন্ধি দ্রুত উবে যায় না। তাই এ সময় গাঢ়, উষ্ণ ও মশলাদার ঘ্রাণযুক্ত পারফিউম যেমন- উদ, অ্যাম্বার, ভ্যানিলা, স্যান্ডালউড বা মাশক ঘ্রাণযুক্ত সুগন্ধি বেছে নেওয়া যেতে পারে। এই ধরনের ঘ্রাণ শরীরে দীর্ঘ সময় স্থায়ী হয় এবং উষ্ণতার অনুভূতি দেয়।
বর্ষাকাল: সতেজ ও প্রাকৃতিক ঘ্রাণ
বর্ষায় বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকে, ফলে হালকা সতেজ ঘ্রাণ দীর্ঘস্থায়ী হয়। এ সময় গ্রিন টি, অ্যাকুয়া, মিন্ট বা ফ্রেশ হার্বাল ঘ্রাণের পারফিউম ভালো মানায়।
বসন্তকাল: ফুলেল ঘ্রাণের ঋতু
ফুল ফোটা বসন্তে রোজ, লিলি, টিউলিপ বা ল্যাভেন্ডার ঘ্রাণের পারফিউম সবচেয়ে মানানসই। এই ঘ্রাণ শুধু পরিবেশ নয়, মনকেও প্রফুল্ল করে তোলে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঋতুভেদে সুগন্ধি পরিবর্তন কেবল ব্যক্তিত্বে নতুন মাত্রা আনে না, বরং চারপাশের মানুষের কাছেও এক সতেজ ও ইতিবাচক ছাপ ফেলে। তাই ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সুগন্ধিও বদলে ফেলুন ঋতুর সঙ্গে।