প্রখ্যাত লেখক, গবেষক ও জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমরের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়েছে। শেষবারের মতো শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে তাকে সেখানে নেওয়া হয়।
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম জানান, বদরুদ্দীন উমরের বড় মেয়ে বিদেশে রয়েছেন। তিনি ফেরার পর সোমবার বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তার প্রথম জানাজা হওয়ার কথা রয়েছে। জানাজা শেষে তাকে জুরাইন কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।
উল্লেখ্য, বরেণ্য বুদ্ধিজীবী, লেখক, গবেষক ও জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর রবিবার সকাল ১০টা ৫ মিনিটে রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে তার পেশাজীবনের শুরু। পরবর্তীকালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি এবং গণতান্ত্রিক বিপ্লবী জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
বরেণ্য এই বুদ্ধিজীবী এক সময় পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০০৩ সালে তিনি ‘জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল’ নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন এবং এর সভাপতির দায়িত্ব নেন।
রাজনৈতিক পরিচয় ছাড়িয়ে একজন লেখক, গবেষক ও বুদ্ধিজীবী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন বদরুদ্দীন উমর। দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তন ও নানা প্রয়োজনে দক্ষতার সঙ্গে বিশ্লেষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন তিনি।
২০২৫ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন। তবে তিনি তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান।