শেরপুরের নকলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর ৩২ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা সমন্বয় কমিটি থেকে একযোগে ১৫ জন নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন।
মঙ্গলবার রাতে নকলা সরকারি হাজী জালমামুদ কলেজ রোডের স্থানীয় একটি কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ ঘোষণা দেন।
পদত্যাগী নেতারা অভিযোগ করেন, দলের প্রধান সমন্বয়কারী মো. হুমায়ুন কবির আকাশ অযোগ্য, আদর্শিক নন এবং সামাজিকভাবে অবগ্রহণযোগ্য। এ ধরনের নেতৃত্বে আমরা আর কাজ করতে রাজি নই বলেই সম্মিলিতভাবে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শুধু পদত্যাগই নয় আমরা এই কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করেছি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনানো হয় এবং সাংবাদিকদের হাতে পদত্যাগপত্রের কপি তুলে দেওয়া হয়।
পদত্যাগকারী যুগ্ম সমন্বয়কারীরা হলেন- মো. মমিনুল ইসলাম আরব, মনিরুল ইসলাম মনির, সিরাজুল ইসলাম সোহাগ, রাশিদুল জামান রাসেল, জসীম উদ্দীন ও পদত্যাগকারী সদস্যরা হলেন, মো. দেলোয়ার হোসেন, সোহেল রানা, জাহাঙ্গীর আলম, সোহাগ মোল্লা, আলামিন মিয়া, রতন মিয়া, নাজমুল হাসান, সুমন মিয়া, আরিফ মিয়া, সাদেকুল ইসলাম শান্ত।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র নকলা উপজেলা শাখার সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মো. হুমায়ুন কবির আকাশ মুটোফোনে বলেন, আমাকে অযোগ্য কোন হিসেবে বলেছে এটা আমার জানা নেই। তবে এটি আমাদের মধ্যে ভুল বুঝাবুজি হইছে। যে ১৫ জন পদত্যাগ পত্র দিছে বলছে তাদের নিয়ে বসে আমরা প্রেসরিলিজ দিব এবং দিকনির্দেশনা মূলক আলোচনায় বসব।
পদত্যাগের বিষয়ে শেরপুর জেলা এনসিপির ১নং যুগ্ম সমন্বয়কারী আলমগীর কবীর মিথুন মুটোফোনে জানান, নকলা উপজেলা কমিটি কি ভাবে দেয়া হইছিল সে বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না। এটা হঠাৎ করেই আসছে। নকলায় যে কমিটি দেওয়া হইছে সেই কমিটিতে লিডিং পজিশনে যারা আছে তাদের নেতৃত্ব মানতে চাচ্ছে না। তারা দল থেকে পদত্যাগ করে নাই। এই কমিটি থেকে পদত্যাগ এবং প্রত্যাখ্যান করেছে। আমি তাদের লিখিত কাগজ পেয়েছি।
উল্লেখ্য, গত ১০ আগস্ট মো. হুমায়ুন কবির আকাশকে প্রধান সমন্বয়কারী ও ১০ জনকে যুগ্ম সমন্বয়কারীসহ ২১ জনকে সদস্য করে আহবায়ক কমিটি গঠনের লক্ষ্যে শেরপুরের নকলা উপজেলার সমন্বয় কমিটির অনুমোদন দেন কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।