গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় অন্যতম আসামি স্বাধীন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে গাজীপুরের পোড়াবাড়ি ক্যাম্পে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গাজীপুর র্যাব-১-এর কোম্পানি কমান্ডার এসপি কে এম এ. মামুন খান চিশতী।
তিনি জানান,সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত স্বাধীনকে মহানগরীর শিববাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এসপি কে এম এ. মামুন খান চিশতী বলেন, গ্রেপ্তারের পর স্বাধীন ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন এবং এ ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন।
এদিকে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ফয়সাল ওরফে কেটু মিজান, তার স্ত্রী গোলাপী বেগম, আল আমিন, সুমন, মো. ফয়সাল হাসান ও মো. শাহ জালাল।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপকমিশনার রবিউল হাসান জানান, কেটু মিজান ও তার স্ত্রী গোলাপী বেগমকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকা থেকে, আল আমিনকে রাজধানীর উত্তরার তুরাগ এলাকা থেকে এবং স্বাধীনকে হোতাপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া সুমন নামে আরও এক আসামিকে চাপাতি ও সুইচ গিয়ারসহ গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা।
পরে মামলার অন্য দুই আসামিকেও গ্রেপ্তার করা হয়। পাবনার পাচবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা ও ভাড়াটিয়া মো. ফয়সাল হাসান (২৩) এবং কুমিল্লার হোমনা থানার বাসিন্দা মো. শাহ জালালকে (৩২) ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানা থেকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া সবাইকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এর আগে শুক্রবার সাংবাদিক তুহিন হত্যার ঘটনায় বাসন থানায় মামলা দায়ের করা হয়। নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ বলছে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় শাপলা ম্যানশনের সামনে এক নারীকে মারধর করে বাদশা মিয়া নামে এক ব্যক্তি। এ সময় কয়েকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাদশাকে আঘাত করে। এই ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন তুহিন। বিষয়টি টের পেয়ে হামলাকারীরা তুহিনকে ভিডিও ডিলিট করতে বলে।
তখন তুহিন নিজের পরিচয় দিয়ে ভিডিও ডিলিট করতে অস্বীকার করেন। পরে পাশের একটি মার্কেটের সামনে তুহিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে তারা।