বুধবার, ০২:১৯ অপরাহ্ন, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২২শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
টিএসসিতে যুদ্ধাপরাধীদের ছবি প্রদর্শনে ছাত্রদলের নিন্দা, ছাত্রশিবির বলছে ‘কুতর্ক ও মব’ জুলাই ঘোষণাপত্রে ইতিহাসের বেশির ভাগ অংশ ‘অত্যন্ত পক্ষপাতদুষ্ট ও একতরফা’, ডেভিড বার্গম্যানের পোস্ট জুলাই ঘোষণাপত্র/ আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় যা বললেন ফখরুল যতদিন ক্ষমতায় থাকব, আর্থিক খাতের সংস্কার করে যাব: অর্থ উপদেষ্টা নির্বাচন জুলাই সনদের ভিত্তিতে হতে হবে: জামায়াত নায়েবে আমির যুক্তরাষ্ট্রে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে সব আরোহীর মৃত্যু খালে মাইক্রোবাস: এক পরিবারের নিহত ৭ জনের পরিচয় জানা গেল রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে রিভিউয়ের রায় পেছাল আবু সাঈদ হত্যা: ৩০ আসামির বিচার শুরুর নির্দেশ জুলাই-আগস্টের গণহত্যা: হাসিনা-কামালের বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে

আবু সাঈদ হত্যা: ৩০ আসামির বিচার শুরুর নির্দেশ

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫
  • ৩ বার পঠিত

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

আজ বুধবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারক মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।

আবু সাঈদ হত্যা মামলায় মোট ৩০ আসামির মধ্যে ২৪ জন পলাতক ও ছয় আসামি গ্রেপ্তার রয়েছেন। গ্রেপ্তার থাকা আসামিরা হলেন- এএসআই আমির হোসেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ। অভিযোগ গঠনের সময় তারা ট্রাইব্যুনালের এজলাসে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ৩০ জুলাই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য ৬ আগস্ট দিন ধার্য করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন।

সেদিন ট্রাইব্যুনালে পলাতক আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন সরকারি খরচে নিয়োগ পাওয়া চার আইনজীবী। এর মধ্যে পাঁচজনের হয়ে লড়েন আইনজীবী সুজাত মিয়া। নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মামুনুর রশীদ। এ ছাড়া শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত জাহান ও শহিদুল ইসলাম।

প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, মঈনুল করিম ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান।

গত ২৮ জুলাই এ মামলার ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি শেষ করে প্রসিকিউশন। ওইদিন আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি এ মামলার সুনির্দিষ্ট অভিযোগসহ বিস্তারিত তুলে ধরেন। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ মামলার অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি হয়।

গত ২২ জুলাই এ মামলায় বেরোবির সাবেক ভিসি, রংপুর মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনারসহ পলাতক ২৪ আসামির পক্ষে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। একই সঙ্গে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ শুনানির জন্য ২৮ জুলাই দিন ধার্য করা হয়।

ওইদিন আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মঈনুল করিম।

সাংবাদিকদের সেদিন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, এ মামলায় ৩০ আসামির মধ্যে এখনো ২৪ জন পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তবে আদালতে হাজির না হওয়ায় পলাতক হিসেবেই এসব আসামির বিচারকাজ চলবে। আর গ্রেপ্তার ছয়জনের দুজন এখনো আইনজীবী নিয়োগ দেননি। তাদের ব্যাপারে ট্রাইব্যুনাল জানতে চেয়েছেন।

এ ছাড়া পলাতক ২৪ জনের পক্ষে সরকারি খরচে চারজন স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। অর্থাৎ ছয়জনের জন্য একজন করে আইনজীবী লড়বেন।

এর আগে ১৩ জুলাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য মামলায় গ্রেপ্তার রাসেল ও পারভেজকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে পলাতক ২৪ জনকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে আদালতে হাজির করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-২।

গত ৩০ জুন মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। এ ছাড়া পলাতকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এর আগে ২৪ জুন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত সংস্থা। এ ঘটনায় মোট ৩০ জনকে আসামি করা হয়।

এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। চতুর্থ সাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিচ্ছেন আবু সাঈদ হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী রিনা মুর্মু। এর আগে আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরীআব্দুল্লাহ আল মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com