বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শালীন পোশাক পরিধান সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন ব্যাংকটির মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।
তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় অফিস সময়ে পেশাদার ও মার্জিত পোশাক পরিধানের পরামর্শ প্রদানের বিষয়ে স্ব স্ব বিভাগীয় সভায় আলোচনায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তবে এ বিষয়ে কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি এবং এ সংক্রান্ত কোনো সার্কুলারও জারি করা হয়নি।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘মিডিয়ার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ এ বিষয়টি বিদেশে অবস্থানরত গভর্নর মহোদয়ের গোচরীভূত হলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং তার নির্দেশনা মোতাবেক বিষয়টি এ মূহুর্তে প্রত্যাহার করা হলো।’
এর আগে গত সোমবার (২১ জুলাই) একটি অফিস আদেশ জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ-২। নির্দেশনায় ফরমাল জুতা, সাদামাটা হেডস্কার্ফ বা হিজাব পরার বিষয়ে উল্লেখ করা হয়।
কর্মকর্তারা নির্দেশনা মেনে চলছেন কিনা তা তদারকির জন্য একজন করে কর্মকর্তা মনোনয়ন এবং কেউ এ নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটিয়ে অফিসে আসলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনতে বলা হয়।
পরে এ বিষয়ে গতকাল দিবাগত রাত ১২টা ৫১ মিনিটে একটি বিবৃতি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত বিভিন্ন বয়সী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বয়সের পার্থক্যজনিত কারণে পুরুষ ও নারী উভয় সহকর্মীদের মধ্যে পোশাকের বৈচিত্র্য পরিলক্ষিত হয়। পোশাকের ধরনের নানা পার্থক্য হেতু নারী-নারী ও পুরুষ-পুরুষ সহকর্মীদের মধ্যে মানসিক বৈষম্য দূর করে পারস্পরিক বোঝাপড়া (বন্ডিং) আরও দৃঢ় করার লক্ষ্যে অফিসে পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে আলোচ্য সার্কুলারটি জারি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এটা একটি পরামর্শমূলক সার্কুলার। নারী সহকর্মীদের বোরকা ও হিজাব পরিধানের ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা বা নির্দেশনা আরোপ করা হয়নি।’
এই সার্কুলারের মাধ্যমে অতিশয় কারুকার্যপূর্ণ পোশাককে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে আরও বলা হয়, ‘আশা করি, এই সার্কুলারের মাধ্যমে অফিসে কারও পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা খর্ব হবে না।’