পাকিস্তানের বিপক্ষে এক ম্যাচ হাতে রেখেই প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। আজ বৃহস্পতিবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে টাইগারদের সামনে সুযোগ, শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার। এর আগে ২০১৫ সালে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তানকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনার সুযোগ রয়েছে সংক্ষিপ্ত সংস্করণে।
প্রথম দুই ম্যাচেই আধিপত্য দেখিয়ে খেলেছে সাকিব আল হাসানবিহীন বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ৮ রানে জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা। দুই ম্যাচেই দারুণ ভূমিকা রাখেন বাংলাদেশের পেসাররা। মোস্তাফিজুর রহমান দুই ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়ে ছিলেন দুর্দান্ত। বিশেষ করে প্রথম ম্যাচে ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ রেখেছিলেন বোলিংয়ে।
তাসকিন আহমেদ, তানজিম সাকিব ও শরিফুল ইসলামও পেস আক্রমণে রাখেন দারুণ ছাপ। ফলাফল, দুই ম্যাচেই অলআউট পাকিস্তান।
ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন পারভেজ হোসেন ইমন, তাওহীদ হৃদয়, শেখ মেহেদী ও জাকের আলি। তবে দুই ম্যাচেই ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন অধিনায়ক লিটন দাস। প্রথম ম্যাচে করেন মাত্র ১ রান, দ্বিতীয়টিতে ৮। হোয়াইটওয়াশ নিশ্চিত করতে আজকের ম্যাচে তার ফর্মে ফেরাটাই দলের জন্য বড় চাওয়া।
অন্যদিকে পাকিস্তান সিরিজে পাঠিয়েছে মূলত দ্বিতীয় সারির দল। আগা সালমানের নেতৃত্বে দলটি দুই ম্যাচেই হেরে সিরিজ খুইয়েছে আগেভাগেই। ব্যাটিং ব্যর্থতায় ভুগছে তারা। অভিজ্ঞ ফখর জামানও ছিলেন নিষ্প্রভ, তরুণ সায়েম আয়ুব দুই ম্যাচেই ছিলেন ব্যর্থ।
আজকের ম্যাচ তাই পাকিস্তানের জন্য সম্মান বাঁচানোর লড়াই। হারলে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা নিয়েই ফিরতে হবে দেশটিতে।
ম্যাচটি শুধু সিরিজের শেষ নয়, বরং বাংলাদেশের জন্য ইতিহাস গড়ার মঞ্চ—প্রথমবার পাকিস্তানকে টি-টোয়েন্টিতে ধবলধোলাই করার হাতছানি।