বাবা-মায়ের কবরের পাশেই চির নিদ্রায় শায়িত হলেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। উদারতার অনন্য নজির গড়ে নিজের জীবন দিয়ে অন্তত ২০ শিক্ষার্থীর জীবন বাঁচিয়ে গেছেন মাহরীন।
মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর নিজের শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে যান এই শিক্ষক। ২০ শিক্ষার্থীকে বাঁচাতে পারলেও মাহরীনের বেঁচে ফেরা হয়নি।
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা ভার্সনের কো-অর্ডিনেটর (তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণী) ছিলেন মাহরীন। সোমবার অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ বার্ন ইউনিটে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৭টায় তার মৃত্যু হয়।
আজ মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মরহুমার গ্রামের বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়।
মাহরীনের স্বামী মনসুর হেলাল জানান, তার স্ত্রী ইচ্ছা করলেই বাঁচতে পারত। কিন্তু সে তা না করে তার শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাজ করে। শ্রেণিকক্ষের ভিতরে থেকে একের পর এক শিক্ষার্থীকে টেনে বের করতে থাকে। একপর্যায়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে সে নিজেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।