রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (মিটফোর্ড) সামনে পাথর দিয়ে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হত্যা করার অন্যতম আসামি নান্নু কাজীকে (৩৩) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকা থেকে র্যাব-১১ এর একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
জানা যায়, আসামি নান্নু ভাইরাল ভিডিও’র ইট ও সিমেন্টের ব্লক দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করা চারজনের একজন। এ নিয়ে এই হত্যার ঘটনায় মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
র্যাব-১১ এর সিপিসি-১ কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সোমবার দিবাগত গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামে মামার বাড়ির পাশের একটি বাড়ি থেকে নান্নুকে আটক করা হয়। সে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ৬ নম্বর আসামি।
রাতেই নান্নু কাজীকে র্যাব-১০ এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান র্যাবের ওই কর্মকর্তা।
এর আগে রবিবার সকালে ঢাকা ও নেত্রকোণা থেকে সজীব ও রাজীব নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত বুধবার হাসপাতালের সামনে ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। হত্যার আগে সোহাগকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে এবং ইটপাথরের টুকরা দিয়ে আঘাত করে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করা হয়। তার শরীরের ওপর উঠে লাফান কেউ কেউ।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে পুরান ঢাকার কয়েক যুবক সোহাগকে বুধবার দুপুরে ডেকে নেয়। সন্ধ্যায় তাকে হত্যা করা হয়। সোহাগ পুরোনো তামার তার ও অ্যালুমিনিয়াম শিটসহ ভাঙারি জিনিসের ব্যবসা করতেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, সোহাগ একসময় যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদরে। তার ১৪ বছর বয়সী মেয়ে সোহানা ষষ্ঠ শ্রেণিতে এবং ১১ বছর বয়সী ছেলে সোহান চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে।
হত্যাকাণ্ডের পরদিন বৃহস্পতিবার নিহতের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়।