মঙ্গলবার, ০৫:৩৪ অপরাহ্ন, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :

নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পকে নেতানিয়াহুর মনোনয়ন

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫
  • ৬ বার পঠিত

এবার নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মনোনয়ন দিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। হোয়াইট হাউসে বৈঠকের সময় ট্রাম্পের হাতে মনোনয়নের আবেদন করা চিঠি তুলে দেন নেতানিয়াহু।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রয়টার্স ও দ্য গার্ডিয়ান জানায়, নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিয়েছেন। স্থানীয় সময় সোমবার হোয়াইট হাউসে বৈঠকের সময় তিনি ট্রাম্পকে সে সংক্রান্ত চিঠি দেখান। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি স্থাপনে অবদান রাখায় ট্রাম্পকে এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

পরে সাংবাদিকদের নেতানিয়াহু বলেন, গাজা একটি উন্মুক্ত স্থান হওয়া উচিত এবং মানুষকে স্বাধীনভাবে পছন্দ করার সুযোগ দেওয়া উচিত। আমরা এমন দেশগুলোকে খুঁজে বের করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। যারা সবসময় যা বলে তা বাস্তবায়ন করতে চাইবে। ফিলিস্তিনিদের একটি উন্নত ভবিষ্যৎ দিতে তারা কাজ করবে। আমি মনে করি, আমরা বেশ কয়েকটি দেশ খুঁজে বের করার কাছাকাছি চলে এসেছি।

নোবেল মনোনয়ন সংক্রান্ত চিঠিটি উপস্থাপনের আগে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমি কেবল সমস্ত ইসরায়েলিদের নয় বরং ইহুদি জনগণের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা ও প্রশংসা প্রকাশ করতে চাই। আপনি (ট্রাম্প) এটির যোগ্য।’

ট্রাম্প বলেন, বিশেষ করে আপনার কাছ থেকে আসা কথাটি খুবই অর্থবহ।

এটি ছিল ট্রাম্পের জন্য দ্বিতীয় ‘উচ্চ-প্রোফাইল’ মনোনয়ন। এর আগে গত মাসে পাকিস্তান ট্রাম্পকে এই পুরস্কারের জন্য সুপারিশ করবে বলে ঘোষণা করে। এ ছাড়া পাবলিকান আইনপ্রণেতা বাডি কার্টার নোবেল পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পকে মনোনীত করেছেন।

এ বিষয়ে বাডি কার্টার নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটিকে একটি চিঠি লিখেছেন। তিনি ঘোষণা করেন যে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সশস্ত্র সংঘাতের অবসান ঘটাতে এবং বিশ্বের সবচেয়ে বিধ্বংসী পরমাণু অর্জন থেকে বিরত রাখতে ট্রাম্পের ‘অসাধারণ ও ঐতিহাসিক ভূমিকা’ রয়েছে।

চিঠিতে কার্টার বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ দুই দেশের যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, যা অনেকেই অসম্ভব বলে মনে করেছিল। ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা রোধ করার জন্য এবং ইরান যাতে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনে সক্ষম না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য সাহসী, সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com