বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শহীদ হওয়া বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়েছে।
আজ সোমবার ট্রাইব্যুনাল-২-এর সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে প্রতিবেদনটি আনুষ্ঠানিকভাবে জমা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মামলার প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। এর আগে গত ২৪ জুন তদন্ত সংস্থা ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন দপ্তরে প্রতিবেদন জমা দেয়। একই সময় আবু সাঈদ হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রও প্রসিকিউশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তদন্তে উঠে এসেছে, শহীদ আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে তৎকালীন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারসহ মোট ৩০ জন সরাসরি জড়িত ছিলেন।
মামলার বাদী শহীদ সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী জানান, চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করে এই মামলার অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন। বর্তমানে মামলার চার আসামি কারাগারে রয়েছেন। এরা হলেন- বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় এবং ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী।
উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সূচনায় রংপুরে পুলিশের গুলিতে প্রকাশ্য দিবালোকে শহীদ হন আবু সাঈদ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি পুলিশের সামনে বুক পেতে দাঁড়ানো অবস্থায় সরাসরি গুলিবিদ্ধ হন। ওই নির্মম হত্যাকাণ্ড দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিন্দার ঝড় তোলে।