রবিবার, ০৫:০৫ অপরাহ্ন, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

ভবিষ্যৎ রাজার ছেলের বিরুদ্ধে ৩ ধর্ষণসহ ২৩ অভিযোগ

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫
  • ৪ বার পঠিত

নরওয়ের ভবিষ্যৎ রাজার ছেলের বিরুদ্ধে তিনটি ধর্ষণ এবং অন্যান্য ২৩টি অপরাধের অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া তিনি আরও কয়েকটি নারী নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত।

ক্রাউন প্রিন্সেস মেটে-মেরিটের ছেলে এবং ক্রাউন প্রিন্স হাকনের সৎপুত্র মারিয়াস বোর্গ হোইবির অপরাধ এখন নরওয়ে জুড়ে আলোচনায়। শুক্রবার (২৭ জুন) পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাগুলো বেশ স্পর্শকাতর এবং খুবই গর্হিত। হোইবির দ্বারা নারী নির্যাতিত হওয়ার প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে।

নরওয়ের ভবিষ্যৎ রাজার সৎপুত্র মারিয়াস বোর্গ হোইবিকে গত বছর আগস্ট, সেপ্টেম্বর এবং নভেম্বর মাসে তিনবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ১০ মাস ধরে তদন্তের পর নরওয়েজিয়ান পুলিশ এখন মামলাটি প্রসিকিউটরদের কাছে হস্তান্তর করেছে। এবার তারা অভিযোগ দায়ের করবেন কি না তা সিদ্ধান্ত নেবেন। পুলিশ অ্যাটর্নি আন্দ্রেয়াস ক্রুসজেউস্কি বিবিসিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

হোইবির আইনজীবী পেটার সেকুলিক বলেন, তার মক্কেল অভিযোগগুলোকে খুব গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছেন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনো অন্যায় স্বীকার করেননি। বিশেষ করে যৌন নির্যাতন এবং সহিংসতার ক্ষেত্রে তিনি চুপ আছেন।

২৮ বছর বয়সী এই যুবক কোনো রাজকীয় পদবি বা সরকারী দায়িত্বে নেই। তাকে গত বছরের ৪ আগস্ট একটি হামলা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তারের পর থেকে একের পর এক নারী নির্যাতনের তথ্য সামনে আসতে থাকে।

এক বিবৃতিতে অসলো পুলিশ জানায়, তারা বিপুল সংখ্যক সাক্ষীর সাক্ষাৎকার, বেশ কয়েকটি তল্লাশি এবং বিস্তৃত ডিজিটাল উপাদান পর্যালোচনাসহ একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত সম্পন্ন করেছে। ২০২৪ সালের শরৎ এবং ২০২৫ সালের বসন্তে হোইবিকে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি পুলিশকে সহযোগিতা করেছেন বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, হোইবিকে যে অপরাধের জন্য সন্দেহ করা হয়েছিল তার মধ্যে রয়েছে চারটি যৌন আপত্তিকর আচরণ, একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ক্ষেত্রে নির্যাতনের (ধর্ষণ) অভিযোগ এবং দুটি শারীরিক ক্ষতির অভিযোগ।

তবে তদন্তে পুলিশের পক্ষপাতের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিশ্চিত করে, যৌন অপরাধের সাথে জড়িত কিছু মামলা খারিজ করা হয়েছে। এটি পুলিশের গাফিলতি নয় বরং সীমাবদ্ধতার আইন এবং প্রমাণ না থাকার কারণে করা হয়েছে।

ক্রুসজেভস্কি বলেন, মামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের সংখ্যা সম্পর্কে আমি আরও বিস্তারিত বলতে পারছি না । তবে সংখ্যাটি দ্বি-অঙ্কের।

নরওয়ের রয়েল হাউস একটি বিবৃতিতে বলেছে, মামলাটি আইনি ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে চলছে। এ নিয়ে তাদের কিছু বলার নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com