আসন্ন ঈদুল ফিতরের টানা নয়দিন বন্ধ থাকবে ব্যাংক। আজ বৃহস্পতিবার ছুটির আগে শেষ হচ্ছে স্বাভাবিক ব্যাংকিং লেনদেন।আগামীকাল শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে সাপ্তাহিক, ঈদের ও বিশেষ ব্যবস্থার ছুটি। ফলে শেষ মুহূর্তের লেনদেন সেরে নিতে সকাল থেকেই ব্যাংকগুলোর শাখাগুলোতে গ্রাহকের উপচেপড়া ভিড়।
এছাড়া গ্রাহকরা নগদ টাকা উত্তোলন, ঋণ গ্রহণ, রেমিট্যান্স ডলার ভাঙানো, সঞ্চয়পত্রের মুনাফা উত্তোলনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করছেন।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, গ্রাহকদের চাপ সামাল দিতে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা নেওয়া হয়েছে, যাতে নির্বিঘ্নে লেনদেন সম্পন্ন করা যায়।
ব্যাংকের ভিড় সম্পর্কে এক গ্রাহক বলেন, ‘প্রতি ঈদের আগেই ব্যাংকে আসতে হয় টাকার প্রয়োজনে। তবে আজ তুলনামূলক ভালো ব্যবস্থা দেখা যাচ্ছে। ভিড় থাকলেও লেনদেনের গতি স্বাভাবিক রয়েছে।’
ঈদ সামনে রেখে নগদ টাকার বাড়তি চাহিদা মেটাতে ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে পর্যাপ্ত তারল্য সরবরাহ করা হয়েছে। ফলে নগদ অর্থের সংকট দেখা দেয়নি।
যদিও আজ বৃহস্পতিবার স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রমের শেষ দিন, তবে পোশাক শিল্প এলাকার লেনদেন সুবিধার্থে আগামী দুই দিন নির্দিষ্ট কিছু শাখা সীমিত সময়ের জন্য খোলা রাখা হবে। এর মধ্যে আগামীকাল শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং পরদিন শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। এই বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামের কিছু ব্যাংক শাখা খোলা থাকবে।
ঈদের ছুটিতে ব্যাংক বন্ধ থাকলেও গ্রাহকরা নির্বিঘ্নে এটিএম বুথ, অনলাইন ব্যাংকিং ও মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করতে পারবেন। ফলে টাকা তোলা ও জরুরি লেনদেনের জন্য ডিজিটাল সেবার ওপর নির্ভর করতে হবে গ্রাহকদের।