মঙ্গলবার, ০৮:১১ পূর্বাহ্ন, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ২৮শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

কাতার ইকোনমিক ফোরামে প্রধানমন্ত্রী :` ‌জনগণ চাইলে ক্ষমতায় থাকব, নইলে না’

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৪ মে, ২০২৩
  • ৮৩ বার পঠিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ যতদিন চাইবে ততদিনই ক্ষমতায় থাকবে আওয়ামী লীগ। জনগণ না চাইলে থাকবে না।

এসময় তিনি আরও বলেন, নির্বাচন হলো জনগণের অধিকার। আমরা কী (উন্নয়ন) করেছি তারা তা দেখেছে। তারা যদি আমাকে ভোট দেয় তাহলে আমি আছি, আর যদি না দেয় তবে ঠিক আছে আমি থাকব না।

‘আমাদের সময় অনেকগুলো উপনির্বাচন, স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কে সেখানে সমস্যা তৈরি করেছে? আমরা তো করিনি। কিন্তু সব নির্বাচনেই তো কিছু ঘটনা ঘটে।’

বুধবার (২৪ মে) কাতার ইকোনমিক ফোরামের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে এক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষই ঠিক করবে কারা দেশ পরিচালনা করবে। এবং আমি এই অধিকার নিশ্চিত করতে চাই। এটি জনগণেরই ক্ষমতা, আমি তাদের ক্ষমতা তাদের কাছেই রাখতে চাই। আমি ক্ষমতা দখল করে রাখতে চাই না বরং আমি দেশের জনগণকেই ক্ষমতায়িত করতে চাই, যাতে তারা তাদের অধিকার চর্চা করতে পারে। সুতরাং আমাদের সরকারের অধীনে নির্বাচন অবশ্যই মুক্ত, অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।

কতদিন ক্ষমতায় থাকতে চান এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যতদিন আমার দেশের জনগণ চাইবে। কারণ আমি দেশের মানুষের জন্যই কাজ করছি। আমার বাবার স্বপ্ন ছিল, এ দেশের মানুষকে একটি উন্নত জীবন দেয়া। এটি আমারও লক্ষ্য। আমার দেশের জনগণ ক্ষুধায় কষ্ট পাবে না, অপুষ্টিতে ভুগবে না, শিক্ষা, বাসস্থান কিংবা চিকিৎসার মতো মৌলিক চাহিদার অভাবে ভুগবে না। এই বিষয়গুলোই আমি নিশ্চিত করতে চাই। আমরা বিগত সাড়ে ১৪ বছরে এরই মধ্যে এর অনেকটাই করতে পেরেছি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ২০০৬ সালে আমাদের দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ, ২০২২ সালে সেটিকে আমরা ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। আশা করি, আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে কোনো চরম দারিদ্র্য থাকবে না।

প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা কোভিড মোকাবিলা করেছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলো। সবকিছুর দাম বেড়ে গেলো। আবার আমরা ওভারকাম করলাম। আমাদের অর্থনীতি চলছে। জিডিপি লক্ষ্য অর্জনের জন্য আইএমএফ’র ঋণ নিচ্ছি আমরা। একটা কথা হচ্ছে, আইএমএফ তাদেরকেই লোন দেয় যারা পরিশোধ করতে পারবে। বাংলাদেশ এই ঋণ কাজে লাগাতে পারবে। পরিশোধও করতে পারবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com