বুধবার, ০৭:১০ অপরাহ্ন, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
জাতিসংঘের প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়েছে সরকার সারাদেশে প্রায় ৮০০ আয়নাঘর আছে: প্রধান উপদেষ্টা ধানমন্ডি ৩২ পোড়ানো প্রতিশোধেই আমার বাড়ি পোড়ানো হয়েছে : কাফি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ১৪০০ জনেরও বেশি মানুষ হত্যা-আশঙ্কা জাতিসংঘের সচিবালয়ে যাচ্ছেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের প্রতিনিধিদল ফরিদপুরে ৩ ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার ‘আ. লীগ সরকার সব ক্ষেত্রে আইয়্যামে জাহেলিয়াত প্রতিষ্ঠা করে গেছে’ ছবি ও ভিডিওতে দেখুন কুখ্যাত ‘আয়নাঘর’ গৌরনদীতে আওয়ামী সমর্থকদের হামলায় বিএনপি নেত্রী আহত নগদ টাকা, স্বর্নালঙ্কার চিনতাই, থানায় মামলা পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের গৌরনদীতে প্রতিপক্ষে হামলা ও মারধরে নারীসহ আহত ৭

সাত বছরে সর্বনিম্ন রিজার্ভ :আবারো চরম ডলার সংকট

ডেস্ক রিপোর্ট:
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৯ মে, ২০২৩
  • ৬৫ বার পঠিত

চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় কমায় ডলার সংকট তৈরি হয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে ধারাবাহিকভাবে ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সম্প্রতি এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১১৮ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। এরফলে রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯৭৭ কোটি ডলারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালের এপ্রিলে প্রথমবারের মতো ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে রিজার্ভ। সেই অর্থবছর শেষে রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। সাত বছর পর আবারও ২৯ বিলিয়নের ঘরে নেমে আসছে।

যদিও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মানদণ্ড অনুযায়ী, বর্তমানে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ আরও ৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার কম হবে। সংস্থাটির হিসেবে বাংলাদেশের ব্যবহারযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২ হাজার ৩৩৭ কোটি ডলার।

আকু হলো একটি আন্তর্দেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল ও পাকিস্তানের মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। এ ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি দুই মাস অন্তর সুদসহ আমদানির অর্থ পরিশোধ করে। দায় পরিশোধের মতো রিজার্ভ না থাকায় গতবছরের অক্টোবরে আকু থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা।

আমদানি দায় কমানোর উদ্যোগের মধ্যেও সংকট যায়নি। নতুন এলসি কমলেও আগের দায় পরিশোধের চাপ রয়েছে বিদেশিক মুদ্রাবাজারে। এ কারণে সংকট কাটছে না অর্থনীতিতে। পাশাপাশি রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্সের নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে চাপ আরও বেড়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের নানা উদ্যোগের কারণে দ্রুত সময়ের মধ্যে ডলার সংকট কেটে যাবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ২২ জুন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে। করোনার আগ পর্যন্ত রিজার্ভ ৩২ থেকে ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘরে ওঠানামার মধ্যে ছিল। কিন্তু করোনার প্রভাব শুরু হলে বিশ্ববাজারে সুদহার অনেক কমে আসে। তখন বিশ্বের অনেক দেশ বিদেশি ঋণ কমালেও বাংলাদেশ ব্যাংক বাড়ানোর সুযোগ করে দেয়।

মূলত ২০২১ সালের মধ্যে রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে এমন পথ বেছে নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ২০২১ সালের আগস্টে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছিল। তবে করোনা পরবর্তী বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বেশিরভাগ দ্রব্যমূল্য বেড়েছে।

এরপর রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর শেষে রিজার্ভ ছিল ৪৬ দশমিক শূন্য ৭ বিলিয়ন ডলার। ২০২২ সালের জুন শেষে ৪১ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার। গত এক বছরে ১৩ বিলিয়নের বেশি কমে এ পর্যায়ে নেমে এসেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com