বুধবার, ০৭:২২ অপরাহ্ন, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও আওয়ামী দোসরদের হাতে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন শ্রমিক দল নেতা, সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ পাসপোর্ট না থাকলেও ভোটার হতে পারবে প্রবাসীরা নিউরোসায়েন্সেসের চিকিৎসকের জবানবন্দি : হাসপাতালে ভর্তি ১৬৭ জুলাই আহতের বেশির ভাগের মাথার খুলি ছিল না আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ভোটকেন্দ্রের খসড়া প্রকাশ করবে ইসি ফাঁকা মেসে ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ, চিরকুটে লেখা— ‘বাবা-মা আমায় ক্ষমা করে দিও’ নসরুল হামিদের বাংলোবাড়ি উচ্ছেদে অভিযান তোমরা পিআরের কথা বলো, আবার ৩০০ আসনে মনোনয়ন দাও: আহমেদ আযম ফ্রি নেট সংযোগ না পেয়ে যুবককে পেটানো পুলিশের এসআই ক্লোজড দুদকের দুই উপ-পরিচালক বরখাস্ত মওলানা ভাসানী সেতুর স্বপ্নযাত্রা শুরু

ডা. কুদ্দুসকে পুলিশী হেনস্তার নিন্দা সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৩
  • ১০৪ বার পঠিত

 

জনগণের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার আহবান

বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট চিকিৎসা বিজ্ঞানী, জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. আবদুল কুদ্দুসকে পুলিশী হেনস্তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ-বিএসপিপি।
বিএসপিপি’র আহবায়ক প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এবং সদস্য সচিব সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী আজ ৯ এপ্রিল, রবিবার এক যুক্ত বিবৃতিতে এ ঘটনাকে মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার ও সংবিধান পরিপন্থী উল্লেখ করে এ ঘটনায় জড়িত পুলিশের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, গতকাল দুপুরে ভাটারা থানা এলাকায় বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি, আওয়ামী লীগ সরকারের “সর্বগ্রাসী দুর্নীতির” প্রতিবাদে এবং ব্যর্থ সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচীতে অংশ নেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডাঃ মোঃ আব্দুল কুদ্দুস। কোনো কারণ ছাড়াই ভাটারা থানা পুলিশ এসময় জাতির এ শ্রেষ্ঠ সন্তানকে তুলে নিয়ে যায়। প্রায় ৪ ঘন্টা তাঁকে পুলিশের গাড়িতে বিভিন্নস্থানে ঘুরানোসহ নানাভাবে মানষিক নির্যাতন চালানো হয়। শুধু তা-ই নয়, পুলিশ অবস্থান কর্মসূচিও ভন্ডুল করে দেয়।
একটি স্বাধীন দেশে দেশের একজন সিনিয়র সিটিজেন ও বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এভাবে হেনস্তা মেনে নেয়া যায় না।
বিবৃতিতে বলা হয়, সংবিধানের ৩৬ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইন মোতাবেক বাংলাদেশের সর্বত্র অবাধ চলাফেরা, এর যেকোন স্থানে বসবাস ও বসতিস্থাপন এবং বাংলাদেশ ত্যাগ ও বাংলাদেশে পুনঃপ্রবেশ করবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে।
৩৭নং অনুচ্ছেদ মোতাবেক, আইন সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হবার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে।

৩৮নং অনুচ্ছেদ বলে যে, আইন সাপেক্ষে সমিতি বা সংগঠন করবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে।
৩৯ নং অনুচ্ছেদে বাংলাদেশের নাগরিকদের চিন্তা, বিবেক ও বাকস্বাধীনতার নিশ্চয়তা দিয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য এ মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার জনগণ ভোগ করতে পারছে না। সংবিধানকে অনেকটা অকার্যকর করে রাখা হয়েছে। এটা একটা কার্যকর রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্যের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ।

 

পেশাজীবীদের শীর্ষ এই দুই নেতা বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সভা-সমাবেশে যোগ দেওয়ার অধিকার কোনোভাবেই ফৌজদারি অপরাধ নয়; বরং তা সাংবিধানিক নিশ্চয়তা। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে ব্যক্তিস্বাধীনতা, ন্যায়বিচার এবং বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের জন্য গণতান্ত্রিক শাসন অত্যন্ত জরুরি। আর এর জন্য দরকার ব্যক্তি পর্যায় থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায় পর্যন্ত প্রত্যেক ব্যক্তির সমাজে সুস্থ ও মর্যাদাপূর্ণভাবে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা নিশ্চিত করা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য মানবাধিকারক ও সাংবিধানিক অধিকারকে অসম্মান ও অগ্রাহ্য করাটা বর্তমান সরকারের রোগে পরিণত হয়েছে।
বিবৃতিতে পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ, নিপীড়নের পথ পরিহার করে জনগণের মানবিক ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com