বুধবার, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১লা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
এবারে আমাদের লক্ষ‍্য সংসদ ভবন-বরিশালে এনসিপির পদসভায় নাহিদ গৌরনদীতে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বদলির আদেশ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ পন্ড বনানীতে পথশিশুকে ধর্ষণ নিবন্ধন চেয়ে আবেদন : ১৪৪ দলের কোনোটিই উত্তীর্ণ হতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্রসহ ৫ দেশে ভোটার নিবন্ধনের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু এনবিআরের আন্দোলনের জেরে আরও ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত গ্রেনেড হামলা মামলা : তারেক রহমান-বাবরের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি বৃহস্পতিবার কমিশনের ব্যর্থতার দায় সবাইকে নিতে হবে: আলী রীয়াজ অর্থনীতি গতিশীল রাখতে নির্বাচন জরুরি শরীরে কিডনির সমস্যা হচ্ছে কি না বুঝবেন যেভাবে

কারখানার বর্জ্য নিষ্কাশন পানির তোড়ে ভেসে গেল ২ মাদরাসাছাত্র

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ১১৩ বার পঠিত

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় গোসল করতে পানিতে নেমে শিল্পকারখানার বর্জ্য নিষ্কাশন পানির তোড়ে ভেসে গেছে দুই মাদরাসাছাত্র। তাদের একজনকে উদ্ধার করা গেলেও অন্যজন রয়েছে নিখোঁজ।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ভবানীপুর ইসলামিয়া আরবিয়া কবরস্থান মাদরাসার পাশের মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজ ছাত্রের নাম শিহাব হাসান (১১)। সে হোসেন্দী ইউনিয়নের জামালদী গ্রামের মোতালেব মিয়ার ছেলে। উদ্ধার ছাত্রের নাম আব্দুল্লাহ আল তামিম (১০)। সে কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার জহিরুল ইসলামের ছেলে। তারা দু’জনই ভবানীপুর ইসলামিয়া আরবিয়া কবরস্থান মাদরাসায় পড়ে।

তাদের সহপাঠীরা জানায়, নদীর এ জায়গাটি মাদরাসার খুব কাছাকাছি হওয়ায় তারা নিয়মিত সেখানে গোসল করে। আজ জুমার দিন হওয়ায় ফুটবল খেলা শেষে বেলা ১১টার দিকে নদীতে গোসল করতে যায় শিহাব ও আব্দুল্লাহ।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রিফাত হোসেন জানান, শিহাব ও আব্দুল্লাহ যখন নদীতে নামে, আমরা নদীর পাড়েই বসে ছিলাম। নদীর এ দিকটিতে সিটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের ঢাকা সল্ট অ্যান্ড কেমিক্যাল লিমিটেড কোম্পানির একটি বর্জ্য নিষ্কাশন পাইপ ছিল। এ সময় তারা কোম্পানির ব্যবহৃত পানি মেঘনা নদীতে ছেড়ে দেয়। পানির প্রবাহে বেগ থাকায় শিশুরা স্রোতে ভেসে যেতে লাগল। এ সময় এক শিশু এসে আমাকে জানায়, নদীতে গোসল করতে নামা তার সহপাঠিরা স্রোতে ভেসে যাচ্ছে। তখন আমি দ্রুত পানিতে নামলে একজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। কিন্তু অন্যজনকে খুঁজে পাওয়া যায় না।

গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন টিম লিডার দুলাল ব্যানার্জি বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান শুরু করি। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ ছাত্রের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, কয়েক দশক ধরে নদীর এই অংশে গোসল করেন তারা। পানি পরিষ্কার হওয়ায় রান্নাবান্নার কাজেও ব্যবহার করা হতো। কিন্তু সম্প্রতি কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এ নদীতে বর্জ্য ফেলায় এখন আর পানি ব্যবহার করা যায় না। গোসল করার জন্য পানিতে নামলে শরীরও চুলকায়।

এ বিষয়ে কোম্পানির অফিসে যাওয়া হলে কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে মোবাইলে ফোনে একাধিক কর্মকতাকে কল করা হলে তারা এ বিষয়ে অবগত নন বলে জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com