কমনওয়েলথ গেমস ক্রিকেটের ফাইনালে অদ্ভুত ঘটনা! করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও ম্যাচে খেলার অনুমতি দেয়া হলো অস্ট্রেলিয়ার টালিয়া ম্যাকগ্রাকে। রোববার ভারতের বিরুদ্ধে তিনি মাস্ক ছাড়াই ব্যাট করতে নামলেন। চার বলে দু’রান করার পর রাধা যাদবের দুরন্ত ক্যাচে ফিরে গেলেও, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।
সূত্রের খবর, রোববার সকালেই ম্যাকগ্রার শরীরের করোনার হালকা উপসর্গ দেখা যায়। কোভিড পরীক্ষা করানোর পর ফলাফল পজিটিভ আসে। এর পর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার তরফে কমনওয়েলথ গেমসের আয়োজক, দুই দলের প্রতিনিধি এবং ম্যাচ পরিচালকদের সাথে বৈঠক করা হয়। বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে ঠিক হয়, ম্যাচ খেলতে পারেন ম্যাকগ্রা।
এর পরেই প্রশ্ন উঠেছে, কেন ভারত ম্যাকগ্রাকে ম্যাচে খেলানোর অনুমতি দিলো? কমনওয়েলথ আয়োজকদের তরফেই বা এমন অনুমতি মিলল কী করে? যদি কোনো ক্রিকেটার বা অন্য যে কেউ কোভিডে আক্রান্ত হয়ে পড়েন, তা হলে কী হবে? নেটমাধ্যমেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সমর্থকরা। তাদের প্রশ্ন, এই অস্ট্রেলিয়াই এক সময় নোভাক জোকোভিচকে প্রতিষেধক না নেয়ার কারণে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলতে দেয়নি। তারাই এখন দেশের মহিলা ক্রিকেটার কোভিডে আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও ম্যাচে নামিয়ে দিচ্ছে! অস্ট্রেলিয়ার দ্বিচারিতা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠছে, তেমনই কমনওয়েলথ আয়োজকদের সিদ্ধান্তকেও সমালোচনা করা হচ্ছে।
সংবাদ সংস্থার খবর, ভারতের অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর ম্যাকগ্রার অবস্থা শুনে একটু চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে কিছু করার উপায় ছিল না। সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা বলেছে, ‘টসের সময় দল ম্যাকগ্রার কথা জানতে পারে। তখন আর কিছু করার ছিল না। দল যথেষ্ট চিন্তিত। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয়ায় আর কিছু করার ছিল না।’
ব্যাট করতে নামার আগে ও পরে ম্যাকগ্রা দেখা যায় সাজঘরে একা একা মাস্ক পরে বসে থাকতে। তবে ব্যাট করতে নামার সময় তিনি মাস্ক পরেননি। সে সময় সতীর্থ ক্রিকেটার বেথ মুনির সামনাসামনি গিয়ে কথাও বলেছেন। ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। ফিল্ডিং করতে নামার সময়েও তাকে মাস্ক পরতে দেখা যায়নি। তবে বাকি ক্রিকেটাররা যখন উইকেট পাওয়ার পর উচ্ছ্বাস, তখন সেখানে যোগ দেননি ম্যাকগ্রা। অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, কারোর মধ্যে যাতে কোভিড না ছড়ায়, তার জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেয়া হবে। তা পালন করা কতটা সম্ভব, তা নিয়ে সন্দিহান সব পক্ষই।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা