যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে অপরাধ দমনে ট্রাম্প প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ ওয়াশিংটন ডিসির রাস্তায় টহলরত ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের সশস্ত্র থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
যদিও গত সপ্তাহে পেন্টাগন এবং মার্কিন সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, মোতায়েনের সঙ্গে জড়িত সৈন্যরা (যাদের সংখ্যা এখন প্রায় ২ হাজার) অস্ত্র বহন করবে না।
বিবিসির প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, আগস্টের শুরুতে ট্রাম্প ওয়াশিংটনে সৈন্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং শহরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া অপরাধ দমনের জন্য পুলিশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলেন।
ট্রাম্প প্রশাসন এই অভিযানকে নিজেদের সাফল্য দাবি করলেও জরিপের চিত্র ভিন্ন। এতে দেখা গেছে- ডেমোক্র্যাটপন্থী ওয়াশিংটনের অধিকাংশ বাসিন্দা এ পদক্ষেপকে মোটেই সমর্থন করছেন না।
এদিকে ওয়াশিংটন ডিসি ছাড়াও ১৯টি রাজ্যে ন্যাশনাল গার্ড সক্রিয় রয়েছে। তবে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওয়াশিংটন ডিসির ফেডারেল অপরাধ দমন অভিযানের সঙ্গে এর কেনো সম্পৃক্ততা নেই।
অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের দেশব্যাপী অভিযানে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগকে সহায়তা করার জন্য আগামী সপ্তাহগুলিতে ১৯টি রাজ্যে ১ হাজার ৭০০ জন ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েন করার কথা রয়েছে।
হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা ফক্স নিউজকে জানিয়েছেন, এই অভিযানটি প্রাথমিকভাবে গত মাসে ঘোষণা করা হয়েছিল এবং অপরাধ-পীড়িত শহরগুলিতে সম্ভাব্য ফেডারেল হস্তক্ষেপের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।