হাটবাজারের ইজারার দরপত্র দাখিল করতে গিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও নিজ দলীয় নেতাকর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, বিএনপি নেতা মঞ্জুর হোসেন মিলন। এ সময় তার ৪/৫ জন সহযোগী মারধরের শিকার হন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানের ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি উপজেলার সরিকল হাট-বাজারের ইজারার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়।
ফলে বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বিএনপির নেতা কর্মীসহ মোট ১৩ জন দরপত্রের সিডিউল ক্রয় করেন।
দরপত্রের সিডিউলে উচ্চ হাড়ে বাজারের ইজারা মূল্য ধার্য করা হয়েছে দেখে বাজারের ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সিডিউল ক্রেতারা মিলে সিদ্ধান্ত নেন যে, তারা কেউ দলপত্র দাখিলে অংশগ্রহণ করবেন ন।
তাদের এ সিদ্ধান্তকে অমান্য করে বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য, সরিকল ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মো, মনজুর হোসেন মিলন তার ৪/৫ সহযোগীকে নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে তার ক্রয়কৃত দরপত্রটি দাখিল করেন।
এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে বাজারের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দসহ বিএনপি’র স্থানীয় নেতাকর্মীরা তার উপর চড়াও হয়। এ সময় তারা তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং তার ৪/৫জন সহযোগীকে মারধর করে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিএনপি নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন মিলন বলেন, সিডিউল ক্রেতারা সবাই মিলে বুধবার রাতে আমাকে সিদ্ধান্ত দেয় যে আমার ক্রয় কৃত দরপত্রটি দাখিল হবে। বাকিগুলো দাখিল হবে না। আমরা সমঝোতার ভিত্তিতে ইজারা গ্রহণ ও পরিচালনা করব। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে জানতে পারি বরিশালে ১টি দরপত্র দাখিল করা হয়েছে। এটা জেনে আমি আমার দরপত্রটি দাখিল করে দিয়েছি। এজন্য আমাকে এভাবে নাজেহাল করা ও আমার সহযোগীদের উপর হামলা কাম্য নয়।
সরিকল বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো, তৈয়বুর রহমান মিলন বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান মিলন সত্য বলছেন না। তিনি আমাদের সিদ্ধান্তের সাথে বেইমানি করে নিজের দরপত্রটি দাখিল করেছেন। এ ঘটনার আমরা নিন্দা জানাই।