কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি হলে এবং বিদ্যমান পদ্ধতিতে ভোট হলে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ব্যানারে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা থাকবে। নির্বাচনে দলীয় নেতাদের পাশাপাশি বাম ও প্রগতিশীল এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ব্যক্তিদের মনোনয়ন দেওয়া হবে। এরই মধ্যে ভোটের জন্য মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আমাদের নেতাকর্মী এবং সম্ভাব্য প্রার্থীরাও মাঠে রয়েছেন। রাজনৈতিক দলের নেতারা ছাড়াও নির্বাচনে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতা এবং মুক্তবুদ্ধির চর্চায় বিশ্বাসী বিশিষ্টজনদের নির্বাচনে প্রার্থী করার বিষয়ে নতুন জোটের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের জন-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে বুর্জোয়া দলগুলোকে বাদ দিয়ে একটি নতুন জোট গঠনের উদ্যোগ আছে। এরই মধ্যে আমরা আলোচনা শুরু করেছি। সিপিবি, বাসদ, গণফোরামের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে।
বাম, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল, উদারনৈতিক দলকে নিয়ে এ ধরনের একটি জোট গঠনের চেষ্টা চলছে। আগামী বৈঠকে কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হবে। নতুন জোটে দ্বিদলীয় ধারার বাইরে বাম-প্রগতিশীল দল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী অসাম্প্রদায়িক দল ও সংগঠন, এমনকি ব্যক্তিকেও ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা থাকবে।’
বাম দলগুলোর নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, স্বাধীনতার পর থেকে দেশ শাসন করেছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির মতো বুর্জোয়া রাজনৈতিক দল, যারা মূলত ধনিক শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব করে। যে কারণে সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। এ জন্য বুর্জোয়াদের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই জোরদার করতে বাম-প্রগতিশীলদের ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফরম জরুরি। সেই তাগিদ থেকেই যুক্তফ্রন্ট গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এরই মধ্যে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলসহ (বাসদ) বাম গণতান্ত্রিক জোটভুক্ত দলগুলো, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম জোটের শরিক দলগুলো, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যভুক্ত পাঁচটি দল, বাংলাদেশ জাসদ এবং ঐক্য ন্যাপ। এ ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি, দলিত ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর একাধিক সংগঠন, গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে।
আগামী মাসে ‘গণতান্ত্রিক যুক্তফ্রন্ট’ নামে নতুন এই জোটের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ হবে বলে জানা গেছে।