২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল শুনানি চলছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এ শুনানি চলছে।
এদিন পলাতক আসামিদের পক্ষে স্টেট ডিফেন্স হিসেবে সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহানকে নিয়োগ দেন আপিল বিভাগ। এর আগে গত ১ জুন হাইকোর্টের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি পান রাষ্ট্রপক্ষ।
রাষ্ট্রপক্ষে পেপারবুক থেকে পাঠ করছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ মাসুদ। আদালতে বিএনপির আইনজীবীদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ আইনজীবীজয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান রায়হান বিশ্বাস উপস্থিত আছেন।
এর আগে গত ১৫ জুলাই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের রায়কে ‘অবৈধ ঘোষণা’ করেন উচ্চ আদালত।
২০১৮ সালে বিচারিক আদালতের রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন ও ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে (বর্তমানে শহীদ আবরার ফাহাদ অ্যাভিনিউ) তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মী নিহত হন।