নওগাঁয় পুলিশ কনস্টেবলকে প্রকাশ্যে চড়-থাপ্পড় মারার ঘটনায় বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ওই বিএনপি নেতার নাম মামুনুর রহমান রিপন। তিনি নওগাঁ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক।
ভুক্তভোগী ওই পুলিশ কনস্টেবলের নাম আমিনুল ইসলাম। তিনি সদর ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত আছেন।
গতকাল মঙ্গলবার ভুক্তভুগী ওই কনস্টেবল বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার শহরের মুক্তির বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা এক রিকশা চালককে সরে যেতে বলায় ওই ভুক্তভোগী কনস্টেবলকে প্রকাশ্যে চড়-থাপ্পড় মারেন ওই বিএনপি নেতা। পরে সেই চড়-থাপ্পড় মারার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল থেকেই শহরের মুক্তির মোড় এলাকায় ট্রাফিকের ডিউটিতে ছিলেন কনস্টেবল আমিনুল ইসলাম। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই সড়ক হয়ে একটি মিছিল যাচ্ছিল জেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। ওই মুহূর্তে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকে সেখানে নামেন মামুনুর রহমান রিপন। এতে যানজট সৃষ্টি হলে রিকশাটিকে সেখান থেকে সড়ে দাঁড়ানোর কথা বলেন কনস্টেবল আমিনুল ইসলাম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করার পাশাপাশি ওই কনস্টেবলকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে লাঞ্ছিত করেন মামুনুর রহমান রিপনসহ তার সঙ্গে থাকা ৭-৮ যুবক। পাশাপাশি আওয়ামী দোসর ট্যাগ দিয়ে কনস্টেবল আমিনুল ইসলামকে নওগাঁ ছাড়া করার হুমকি দেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কনস্টেবল আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘রিকশাকে সরে যেতে বলায় মামুনুর রহমান রিপন অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। আমার দুই গালে কয়েকবার চড়-থাপ্পড় দিয়ে বাড়ি কোথায় জানতে চান। ঘটনার ভিডিও মামলার এজাহারের সঙ্গে সংযুক্ত করেছি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মামুনুর রহমান রিপনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই কনস্টেবল বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা করেছে। অভিযোগকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশ বলেন, ‘জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মামুনুর রহমান রিপনেরএমন কর্মকাণ্ডে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতারা বিষয়টি অবগত করানো হয়েছেন।’