শাহরিয়ার কবির লেখক সাংবাদিক। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে একত্রিশ বছরের মজবুত দেহের এক শক্তিশালী যুবক। এই বয়সেও তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন নি। তবে স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস বেচাকেনায় তিনি দেশের অন্যতম সেরা বাজিগর। বাজিতে তিনি জিতেছেন শুধু তাই নয়। রীতিমত বাজার মাত করেছেন। স্বাধীনতার পক্ষে তার বয়ানের কাহিনী শুনলে মনে হবে, বোধহয় তিনি একাই দুই বগলে দু’টো কামান নিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে চলাফেরা করতেন!
স্বাধীনতার পরেই তিনি মাঠে সরব হন। ১৯৭২ সালে সাপ্তাহিক বিচিত্রার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি দাবী করেছেন স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের একজন একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। পরবর্তীতে তার লেখাগুলো স্বাধীন বাংলা বেতারে (বিচিত্রায় যোগদান ও স্বাধীনতার পরে) প্রচারিত হয়।
ওদিকে স্বাধীন বাংলা বেতারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতাদের একজন বেগম মুশতারী শফি “জাহানারা ইমামের স্মৃতির উদ্দেশ্যে লেখা চিঠি” বইতে বলেছেন, শাহরিয়ার কবির মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক বাহিনীকে মুরগী সাপ্লাই করতেন। মুশতারী শফি’র জীবিত কালে মুখে তালা দিলেও, মারা যাওয়ার পরে তিনি এই ঘটনা অস্বীকার করে চলেন!
শাহরিয়ার কবির একজন যোগ্য লেখক ও দক্ষ কলমবাজ ব্যক্তি। তিনি তার এই যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়েছেন দেশের মানুষের মধ্যে বিভেদ ও দূরত্বকে বজায় রাখতে। শক্তিশালী একটি দেশ একটি জাতি গড়ে উঠতে জাতীয় ঐকমত্য দরকার। এই কলমবাজ ব্যক্তি আজীবন চেষ্টা করে গেছেন যাতে করে, বাংলাদেশী নাগরিকদের মধ্যে কখনও ঐক্য গড়ে না উঠে। তিনি ইসলামী দল ও অন্যান্য দলের মধ্যে যাতে কোনভাবেই ঐক্য গড়ে না উঠে, সে ব্যাপারে বহু গবেষণা করেছেন এবং বই লিখেছেন। তার বইয়ের সবগুলোই কেন্দ্রবিন্দু একটাই।
তার এই কর্মকাণ্ড জাতি বিনাশী হলেও; বরাবরই তার সুফল গেছে ভা’রতের পকেটে। সে একজন ভারতের পেইড এজেন্ট এবং তাদের জন্যেই লিখে একথা বলার মত সাহসী লেখকদের এদেশে কৌশলে নির্যাতন, হেনস্থা, অপদস্থ করা হয়। তার সাথে আছে একটি দেশ এবং বহু সাংবাদিক, শিল্পী ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। যাদের দু’জন দাঁড়ী-মোচ ছেঁটে ভারতে পালানোর সময় জনতার গণধোলাইয়ের মাধ্যমে ‘কট’ হয়েছে।
এসব ব্যক্তিদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জাতিকে ওয়াকিবহাল হওয়া জরুরি। তারা সংস্কৃতি, কৃষ্টি, শিল্পকলা, সাহিত্য, সাংবাদিক, মিডিয়া জগতে ছড়িয়ে আছে। দেশ যতই উন্নত হউক না কেন। ওসব বিভাগে দেশপ্রেমিক মানুষ না বসলে, এই জাতির কপালে আরো দুর্ভোগ আছে। এক শাহরিয়ার যা ক্ষতি করার যোগ্যতা রাখে। আওয়ামীলীগের ৫০ জন এমপি’ও সেটা করতে পারে না।
লেখক
-Nazrul Islam Tipu নজরুল ইসলাম টিপু