বুধবার, ০২:০৪ অপরাহ্ন, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

বাংলা একাডেমিকে কি আমরা আর ফিরে পাব!

ফারুক ‍আহমেদ
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৫৯ বার পঠিত

কতটুকু ঠিকঠাক হবে বলে ভাবছেন? বাংলা একাডেমিতে শামসুজ্জামান খান মহাপরিচালক হিসেবে ছিলেন প্রায় এক দশক। সে সময়ে, বাংলা একাডেমি মনন চর্চার থেকে দালাল এবং তৈল চর্চা বেশি হয়েছে। এমনও শুনেছি, তিনি বিদেশি গিয়ে যাদের বাসায় থাকতেন, তাদের পুরস্কৃত করার জন্য নতুন নতুন পুরস্কার চালু করলেন। সেসব পুরস্কারের অন্তে বাংলা একাডেমি শব্দটি থাকায় অনেকে তা গ্রহণ করলেন আনন্দের সঙ্গে। তাঁর দেখানো পথ ধরে পরবর্তী মহাপরিচালকগণ অভাবনীয় কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেলেন, ব্যতিক্রম শুধু ছিলেন কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী। তিনি একটি ভালো প্রতিষ্ঠান করার ব্যাপারে চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিলেন। তবে বাংলা একাডেমিতে স্তুপাকারে যে পরিমাণ অর্থব, টাউট জমা হয়েছে, তাদের সঙ্গে রেখে প্রতিষ্ঠানকে টেনে নিয়ে যাওয়া সত্যি কঠিন। সিরাজী ভাইয়ের পর (নিজেকে পরিচয় দেওয়া জাতিসত্ত্বার, কেউ কেউ বলেন জাতি হ*/ত্যা/*র) কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বোধহয় এ প্রতিষ্ঠানকে আরো বেশি অর্থব করে তোলেছে। বাংলা একাডেমির পুরস্কারের ক্ষেত্রে অন্য সব শাখা বাদ দিয়ে শুধু কবিতার দিকে যদি নজর দেওয়া যায়, তাহলে দেখা যাবে যতো চতুর্থ বা পঞ্চম শ্রেণীর কবি আছেন, তারা পুরস্কৃত হচ্ছেন। যে একাডেমির প্রধান ব্যক্তিটির কবিতা পড়ার অযোগ্য তিনি এমনটিই করবেন, যার লোক-গবেষণা তৃতীয় শ্রেণীর তিনিও অবশ্যই তৃতীয় শ্রেণীর কবিদেরই বেছে নিবেন। এভাবে আমরা বাংলা একাডেমিকে আমাদের থেকে অনেক দূরে সরে যেতে দেখলাম। সেখানে চাকুরি করা মৃদু-কবি, মৃদু-লেখদের বন্ধু-সহযোগী ছাড়া আর কেউ এই প্রতিষ্ঠানকে ধারণ করে না। এমন একটি প্রতিষ্ঠান যদি কবি-লেখকের না হয়ে দালালের দখলে চলে যায়, তাহলে তা সত্যি দুঃখজনক।
© Faruq Ahmed

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com