আমারা ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকো তে বেড়াতে গিয়েছিলাম। ভাগ্নী শাখি ওর হাসবেণ্ড ডেরিক আমাদের প্রিয় জামাই তার আধুনিক কার টেসলাতে (Tesla) চড়িয়ে তাদের মামা-মামীকে ঘুরাচ্ছিল।
জনবহুল একটি শহর, যেটি ঐতিহ্যের সমারহে আশীর্বাদিত। সত্যিই আমি আপ্লুত! সমস্ত ভালো লাগার অনুভূতি থেকে একটি নতুন আবিষ্কার নিয়ে আপনাদের সঙ্গে একটুখানি শেয়ার করতে চাই, যে ঐতিহ্যটি এখনো শুধুমাত্র সান ফান্সিসকোতেই সীমাবদ্ধ। ছবি দেখেই হয়তো বুঝতে পেরেছেন। সত্যিই প্রযুক্তি আমাদেরকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে, কতো দূর পৌঁছে দিচ্ছে!
Waymo এক ধরনের উবর, যে উবরটি পরিচালিত হয় একমাত্র রোবট এর সাহায্যে। সে নিজের নিয়ন্ত্রণে একাই চলছে। গাড়িটির ভিতরে কোন ড্রাইভার নেই। রিসিভ, ইন-আউট সমস্ত কিছুই রোবট নিজে করছে। ভারি অবাক লাগছিল! ব্যস্ততম রোডের মধ্যে দিয়ে একটি ড্রাইভার রহিত গাড়ি অবিরত চলে যাচ্ছে! আমাদের একটু কিউরিসিটি ছিল উবরটিতে চরবার। কল করা হয়েছিল বুকিং এর তাগিদে। কিন্তু সে মস্তবড় লাইন। যার পর নাই অপেক্ষার কোন সময় নির্ধারণ করা সম্ভবপর ছিল না। হয়ত বা প্রত্যেকেরই আমার মতই ওই একই চিত্তবৃত্তি শুধুমাত্র একটু খানি এক্সপেরিমেন্টের। তাই তো মনে হয়েছিল এতো নেহাতই একটি এক্সপেরিমেন্ট কার। যেন মনোরঞ্জনের আরেকটি বিশাল অংশের উদ্ভাবন। ভীষণ ভালো লাগার হৃদয়গ্রাহী একটি নির্ভরযোগ্য আবিষ্কার। ছবিটি তোলা হয়েছিল চলন্ত অবস্থায়। অনেক ধন্যবাদ আমার পরমারাধ্য সৃষ্টিকর্তাকে।
ডেভিড হ্যানসন সোফিয়া রোবটের স্রষ্টা। ডেভিড হ্যানসনের হংকংভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হ্যানসন রোবোটিকস সোফিয়াকে তৈরি করে। ২০১৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে সোফিয়াকে প্রথম মানুষের সামনে দেখানো হয়। ২০১৭ সালের অক্টোবরে সৌদি আরব এ রোবটমানবীকে নাগরিকত্ব দেয়।
রোবট একটি যান্ত্রিক, কৃত্রিম কার্যসম্পাদক (agent)। রোবট সাধারণত একটি ইলেক্ট্রো-যান্ত্রিক ব্যবস্থা, যার কাজকর্ম, অবয়ব ও চলাফেরা প্রায় মানুষের মতো। যা বিভিন্ন কাজে মূলত মানুষের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
রোবট শব্দটির উৎপত্তি চেক শব্দ ‘রোবোটা’ থেকে, যার অর্থ ফোরসড লেবার বা মানুষের দাসত্ব কিংবা একঘেয়েমি খাটুনি বা পরিশ্রম করতে পারে এমন যন্ত্র। রোবট হলো কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা, যা দিয়ে মানুষ যেভাবে ইচ্ছা করে ঠিক সে ভাবেই কাজ করতে পারে অথবা এর কাজের ধরন দেখে মনে হবে এর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আছে। রোবটের বহুমাত্রিক সংজ্ঞা দেয়া সম্ভব। সহজ ভাষায় বলা যায়, যে যন্ত্র নিজে নিজে মানুষের কাজে সাহায্য করে এবং নানাবিধ কাজে মানুষের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তাকেই রোবট বলা হয়।
কোন রোবট নিচের ধর্মগুলির সব বা অংশবিশেষ প্রদর্শন করে।
১| প্রাকৃতিক নয়, কৃত্রিম
২| পরিবেশ অনুভব করার ক্ষমতা ।
৩| পরিবেশের বস্তু নিয়ে কাজ করতে পারে।
৪| কিছুটা বুদ্ধিমত্তা আছে, যার সাহায্যে পরিবেশ বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
৫| কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রোগ্রামযোগ্য।
৬| ঘুরতে পারে ও স্থানান্তর করতে পারে।
৭| দক্ষভাবে সুনিয়ন্ত্রিত চলন প্রদর্শন করতে পারে।
৮| স্বেচ্ছায় কাজ করছে, এরকম আভাস দিতে পারে।
বাংলায় কথা বলা প্রথম রোবট কোনটি?
রিবো হল প্রথম সামাজিক মানবিক রোবট যেটি বাংলায় কথা বলতে পারে। Ribo তৈরি করেছে RoboSUST, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় , বাংলাদেশের একটি রোবোটিক্স গ্রুপ। দলটির তত্ত্বাবধানে ছিলেন মোহাম্মদ জাফর ইকবাল । এই হিউম্যানয়েড রোবট রিবো তৈরিতে অর্থায়ন করেছে বাংলাদেশ সায়েন্স ফিকশন সোসাইটি
রত্না বাড়ৈ হাওলাদার
কবি সাহিত্যিক লেখিকা –
আমেরিকা