মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সরকারী বাহিনীর সাথে তুমুল লড়াই চলছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ)। এই লড়াইয়ে টিকতে না পেরে প্রাণ বাঁচাতে আরো ৬৩ সীমান্তরক্ষী আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে।
আজ বুধবার তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এর আগে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) আরো ২৬৪ জন আশ্রয় নিয়েছিল। দু’দিনে আশ্রয় নেয়া সীমান্তরক্ষীর সংখ্যা তাই ৩২৭ জনে উপনীত হয়েছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মিয়ানমারের চলমান সঙ্ঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৩২৭ জন সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তাদের মধ্যে বিজিপি সদস্য ছাড়াও সেনা সদস্য ও পুলিশ সদস্যসহ বেসামরিক নাগরিকরাও রয়েছেন। যারা অস্ত্রসহ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন, তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া হয়েছে।
স্থানীয় কেউ কেউ প্রশ্ন রেখেছেন, এমন পরিস্থিতিতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীদেরকে কী হিসেবে বিবেচনা করবে বাংলাদেশ? যুদ্ধবন্দী নাকি শরণার্থী? প্রায় ১৫ লাখ রোহিঙ্গাকে নিয়ে চলা বাংলাদেশের সামনে এটি নতুন সঙ্কট তৈরি করেছে।