ক্রিকেট ম্যাচের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলো এক ইঞ্জিনিয়ারের। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। খেলাটি হয়েছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের নয়ডায়। প্রাথমিকভাবে যা খবর মিলেছে, তাতে যথেষ্ট ফিট ছিলেন বিকাশ নেগি নামে ওই ইঞ্জিনিয়ার। দিল্লি এবং নয়ডায় নিয়মিত ক্রিকেট খেলতেন। বয়সও বেশি ছিল না। মাত্র ৩৪ বছরেই ফিট এক তরুণের হৃদরোগের ঘটনায় তাই স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা উদ্বেগ বেড়েছে। তার পরিচিতরা জানিয়েছেন যে একটা সময় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে সুস্থ হয়েও ওঠেন। আপাতত ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তারইমধ্যে বিকাশের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার যে ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে, তা দেখে আতঙ্কের চোরাস্রোত তৈরি হয়েছে নেটপাড়ায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা গেছে যে ব্লেজিং বুলসের বিরুদ্ধে ব্যাট করছিল ম্যাভেরিক্স একাদশ। ২০৩ রান তাড়া করতে নেমে ১৩.৪ ওভারে ম্যাভেরিক্সের স্কোর ছিল পাঁচ উইকেটে ১৩৯ রান। স্ট্রাইকে ছিলেন উমেশ কুমার। আর নন-স্ট্রাইকার এন্ডে দাঁড়িয়েছিলেন বিকাশ। বল করছিলেন লক্ষ্য নামে এক খেলোয়াড়। তার ওভারের পঞ্চম বলে চার মারেন উমেশ।
প্রাথমিকভাবে রান নেয়ার জন্য দৌড়াতে থাকেন বিকাশ। তবে বলটা বাউন্ডারিতে যাচ্ছে বুঝে আর দৌড়াননি। হেঁটে-হেঁটে যেতে থাকেন। অপরদিক থেকে এগিয়ে আসতে থাকেন উমেশও। পিচের মাঝ বরাবর এসে দু’জনে হাত মেলান। হাত মেলানোর পর পিছন ফিরে স্ট্রাইক নেয়ার জন্য যেতে থাকেন উমেশ। আর তারপরই পিচে লুটিয়ে পড়েন বিকাশ। প্রাথমিকভাবে বসার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু কিছুটা বসতেই মুখ থুবড়ে পিচে পড়ে যান।
সেটা দেখতে পেয়েই দৌড়ে আসেন ব্লেজিংয়ের উইকেটকিপার। ছুটে আসেন বোলার, ব্যাটার এবং অন্য খেলোয়াড়রাও। চিকিৎসকদের আসার জন্য মাঠের বাইরের দিকে ইঙ্গিত করতে থাকেন তারা। ততক্ষণে সিপিআরও দেওয়া হতে থাকে। তারপর তড়িঘড়ি ৩৪ বছরের বিকাশকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও কোনো লাভ হয়নি। হাসপাতালে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস