নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে (শারমিন আক্তার নিপা) শোকজ করেছে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি।
শুক্রবার অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান রাজশাহীর যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো: আবু সাঈদ (দ্বিতীয় আদালত) স্বাক্ষরিত চিঠিতে তার কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। একইসাথে রোববার (১৭ ডিসম্বর) বেলা ১১টায় তার কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে মাহিয়া মাহির প্রার্থিতা বাতিল হয়েছিল। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিলের মাধ্যমে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন তিনি। এরপর নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
কারণ দর্শানো নোটিশে মাহিয়া মাহিকে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) মাহি তার ফেসবুকে বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেন। এতে দেখা যায়, তিনি নিজ আসনে জনসাধারণের কাছে ভোট চাওয়া নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। প্রতীক বরাদ্দের আগেই গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক জনসমাগম করে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন এবং ভোটারদের কাছে ভোট চান। এতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়েছে। বিষয়টি নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির নজরে এসেছে। ওই আচরণের মাধ্যমে মাহিয়া মাহি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা ২০০৮-এর বিধি ৬ (ঘ) ও ১২ ধারা লঙ্ঘন করেছেন, যা নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম হিসেবে গণ্য হয়েছে।
এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ করা হবে না, তা রোববার সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মাহিয়া মাহি শোকজের নোটিশ পাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমি যেহেতু সেলিব্রেটি, তাই আমাকে নিয়ে নিউজ হয়। এখন নিউজের শিরোনাম দেখে অনেকে বিভ্রান্ত হন, ভেতরটা পড়েন না। নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটিও বিভ্রান্ত হয়েছে বলে আমার কাছে মনে হচ্ছে। আমি কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন করিনি। একটি পক্ষ চাচ্ছে, মাহির নির্বাচনী এলাকায় যাওয়া বাধাগ্রস্ত হোক। নির্ধারিত দিনে আদালতে গিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দেবেন বলেও জানান মাহি।