হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত চুয়াডাঙ্গার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তীব্র শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বের হওয়া খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে বিপাকে। হেডলাইট জ্বালিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। হিম বাতাসে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে শিশু, বৃদ্ধ আর ছিন্নমূল মানুষ। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের করছেন অনেকে।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস, এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৯২ শতাংশ। যা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্র এ কথা জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশার উপস্থিতি দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্যের দেখা মিললেও কমেনি শীতের দাপট। ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
তীব্র শীতের কারণে হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা হাসপাতালে ভিড় করছে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে। গত ১০ দিনে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শিশুসহ এক হাজারের বেশি রোগী ঠান্ডাজনিত কারণে আউটডোরে চিকিৎসা নিয়েছে বলে নিশ্চিত করেন তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ আতাউর রহমান।
জেলা শহরের এক রেস্টুরেন্টের কর্মচারি জানায়, সকাল থেকেই কাস্টমারের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ কারণে ভোরেই কাজে চলে আসতে হচ্ছে। পানিতে হাত দিলে মনে হচ্ছে হাত অবশ হয়ে যাচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান হক জানান, শুক্রবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।