সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের রাস্তায় মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থ কুরআন পোড়ানো সেই সালওয়ান সাবাহ মাত্তি মোমিকাকে নির্বাসন দিয়েছে সুইডেন।
সুইডিশ মিডিয়া অনুসারে, ইরাকি শরণার্থী ৩৭ বছর বয়সী সালওয়ান মোমিকাকে নির্বাসন দিয়ে পাঁচ বছরের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সুইডেন।
সুইডিশ অভিবাসন বিভাগ জানিয়েছে, ইরাকি এই নাগরিককে ২০২১ সালে সুইডেনে বসবাসের অনুমতি দেয়া হয়েছিল।
মাইগ্রেশন এজেন্সির মুখপাত্র জেসপার টেনগ্রোথ বলেছেন, ‘গতকাল (বুধবার) এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর অর্থ হলো এই ব্যক্তির মর্যাদা এবং বসবাসের অনুমতি প্রত্যাহার করা হবে এবং তাকে নির্বাসিত করা হবে।’
মোমিকা জানিয়েছেন, তিনি সুইডেনকে ঝুঁকিতে ফেলতে চান না। তিনি বাক-স্বাধীনতার অধীনে ইসলামের সমালোচনা করার অধিকার প্রয়োগ করেছেন। তিনি তার বসবাসের অনুমতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
গত জুনে ঈদের সময় স্টকহোমের একটি মসজিদের বাইরে পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে কুরআন পোড়ান তিনি। বিষয়টি মুসলিম বিশ্বে বেশ সমালোচিত হয়েছিল। চাপে পড়েছিল সুইডিস সরকার।
এ সময় স্থানীয় পুলিশ জানায়, বাক-স্বাধীনতার নীতি মেনেই মোমিকার প্রতিবাদী কর্মসূচিকে সবুজ সংকেত দেয়া হয়েছিল। এরপর থেকেই সুইডেন প্রশাসনের তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয় বিভিন্ন দেশে।
অন্যদিকে, কুরআন পোড়ানোর খবর পেয়ে ইরাকে অবস্থিত সুইডিশ দূতাবাসে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। কূটনৈতিকদের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে সুইডেনের সরকারও। সেই ঘটনার কয়েক দিন পরেই সুইডেনের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে ইরাকের প্রশাসন। অবিলম্বে সুইডিশ রাষ্ট্রদূতকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়। আরো বেশ কয়েকটি দেশও সুইডেনের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারে বলেও শোনা গিয়েছিল।
সূত্র : দি ইসলামিক ইনফরমেশন