সিলেটের নাজিরবাজার এলাকায় ট্রাক-পিকআপভ্যান সংঘর্ষের ঘটনায় নির্মাণশ্রমিক সৌরভ আহমদ নিহত হয়েছেন। ছেলেকে হারিয়ে বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন নিহতের বাবা সিরাজ নূর। এ সময় কান্না করতে করতে বলছেন, ‘ছেলে আর আমার বুকে আসবে না। চিরকালের জন্য সে হারিয়ে গেছে। এখন কাকে নিয়ে বাঁচবো।’
বুধবার (৭ জুন) সকালে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের পাশে বসে কাঁদছেন তিনি। এর আগে একই দিন ভোরে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার নাজির বাজার এলাকার কুতুবপুর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন।
নিহত সৌরভ (২৩) সুনামগঞ্জ জেলার ভাটিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
নিহত সৌরভের বাবা সিরাজ মিয়া জানান, আমার ছেলে বুধবার ভোরে কাজে যাবে বলে মঙ্গলবার (৬ জুন) রাতে খাবার খেয়ে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ে। আমি যদি জানতে পারতাম, আমার ছেলে আর আমার কাছে ফিরে আসবে না তাহলে তাকে আর কাজে যেতে দিতাম না।
সিলেট ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক সফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, নির্মাণশ্রমিক বহনকারী পিকআপভ্যানটি ওসমানীনগরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। বুধবার ভোরে নাজিরবাজার এলাকায় পৌঁছালে ঢাকা থেকে সিলেটগামী ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় পিকআপভ্যানটি সড়কের পাশে পড়ে যায় ও বড় ট্রাকটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ১১ জন নিহত হন। এ সময় কয়েকজনকে হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে আরও তিনজন মারা যান।