রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘রাজনীতি করতে গিয়ে আমি বিভিন্ন সরকারের সময় জেল খেটেছি। আমাদের সরকার ক্ষমতায় যাওয়ার পর রাষ্ট্রপতি হয়ে প্রায় বন্দী জীবনযাপন করেছি। আপনাদের কাছে খুব একটা আসতে পারিনি।’
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অডিটরিয়ামে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা ও বিভিন্ন পেশাজীবীর সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিমিয় সভায় এ কথা বলেন মো. আবদুল হামিদ।
নিজের রাজনৈতিক জীবনের কথা তুলে ধরে আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছিলাম, এ আদর্শ নিয়েই বাকি জীবন বেঁচে থাকতে চাই। বঙ্গবন্ধু দেশকে ভালোবাসতেন, আমিও দেশকে ভালোবাসি। আমি আমার গ্রাম, আমার হাওরকে অনেক বেশি ভালোবাসি।’
তিনি বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি শুরু করে জাতীয় সংসদের সর্বকনিষ্ট সদস্য হিসেবে সংসদে প্রবেশ করি। আপনারা আমাকে বারবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে সংসদে পাঠিয়েছেন। কিন্তু তখন দীর্ঘ সময় দল ক্ষমতার বাইরে থাকায় আমি এলাকার কোনো উন্নয়ন করতে পারিনি।’
আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, দল ক্ষমতায় গেলে সুদে-আসলে উন্নয়ন করব। আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় এলাকায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এক সময়ের অবহেলিত হাওর আজ পর্যটন এলাকায় রূপ নিয়েছে। আমি হাওর নিয়ে জেগে থেকে সারাজীবন যে স্বপ্ন দেখেছি, সে স্বপ্নের আজ বাস্তবায়ন হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সেদিন বেশি দুরে নয় যখন হাওরে উড়াল সেতু হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থার আরও উন্নয়ন হবে। আমি হয়তো সেদিন বেঁচে থাকব না, কিন্তু হাওরের মানুষ এর সুফল ভোগ করবে ‘
সবশেষে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি নিজ উপজেলা মিঠামইনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে সফল করতে উপস্থিত সবার প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
অষ্টগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হক হায়দারী ও নারীনেত্রী অধ্যাপিকা সৈয়দা নাসিমা আক্তার রীতার সঞ্চালনায় এ মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন, জেলা পরিষদের প্রশাসক জিল্লুর রহমান, জেলা প্রশাসক আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মো. রাসেল শেখ, অষ্টগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জেমস, সরকারি রোটারী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোজতবা আরিফ খাঁন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মানেক কুমার দেব প্রমুখ।