রবিবার, ১১:৪৪ অপরাহ্ন, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

জাপার বিদ্রোহীরা রওশনের নেতৃত্বে ২০১৪ সালের নির্বাচনে যায় : চুন্নু

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ৭৪ বার পঠিত

জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সংসদে বলেছেন, রওশন এরশাদের নেতৃত্বে ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে দলের কিছু নেতার অংশগ্রহণ সাংবিধানিক শূন্যতা থেকে দেশকে রক্ষা করেছিল।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে এসব কথা বলেন জাপা মহাসচিব।

তিনি বলেন, দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে ২০১৪ সালে বেগম এরশাদের নেতৃত্বে কয়েকজন নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।

চুন্নু বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোটের শরিক হিসেবে অংশ নেয় জাতীয় পার্টি।

২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে দলের অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাপা একটি নির্বাচনমুখী দল হওয়ায় সব সময়ই নির্বাচনে অংশ নেয়।

সংসদ বর্জনের প্রথা যে ভালো নয় তা জাতীয় পার্টি প্রমাণ করেছে বলে উল্লেখ করেন চুন্নু।

তিনি স্মরণ করেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন জাতীয় পার্টি বর্জন করেছিল। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ শেষ মুহূর্তে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নেন এবং সারাদেশের সব প্রার্থীকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য চিঠি দেন।

তিনি বলেন, ‘সেদিন এমন অবস্থা হয়েছিল। বিএনপি নির্বাচনে আসবে না। কোনো দল আসবে না। জাতীয় পার্টি না এলে বাংলাদেশে অসাংবিধানিক পরিস্থিতি তৈরি হতো। একটা সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হতো।’

ওই দিন বেগম রওশন এরশাদ জাপা নেতাদের একাংশকে সাথে নিয়ে এইচএম এরশাদের বিপক্ষে গিয়ে তার নেতৃত্বে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন।

লালমনিরহাট-১ আসনে এরশাদের নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে দলের মহাসচিব বলেন, ওই নির্বাচনের সময় লালমনিরহাট, রংপুরসহ কয়েকটি আসনে দলীয় প্রধান মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।

তিনি আরো বলেন, ‘তিনি রংপুরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাননি। আমরা শুধুমাত্র উত্তরাধিকারের জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি।’

লালমনিরহাট-১ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনের প্রতি ইঙ্গিত করে চুন্নু বলেন, ২০১৪ সালে বেগম এরশাদের নেতৃত্বে নির্বাচনে না এলে তিনি এমপি বা প্রতিমন্ত্রী হতে পারতেন না।

তিনি বলেন, ‘আমাদের নির্বাচনের কারণে তিনি প্রতিমন্ত্রী হতে পারেন। মানুষ কেন অতীত ভুলে যায়।’

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী রুল জারি করে বলেন, গতকাল রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনা চলাকালে রাষ্ট্রপতির ভাষণের সাথে সম্পৃক্ত নয় মোতাহার হোসেনের এমন বক্তব্য বাতিল করা হয়েছে।

সেইসাথে বিরোধী দলের সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ তার বক্তব্যে যে অসংসদীয় ভাষা ব্যবহার করেছিলেন তাও বাতিল করা হয়েছে।

সূত্র : ইউএনবি

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com