রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) এক কর্মচারীর নামে রাজধানীতে আটতলা বাড়ি ও ফ্ল্যাটসহ কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাজউকের অফিস সহকারী জাফর সাদেক ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে এসব সম্পদ গড়েছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে দুদক।
রাজউকের পূর্বাচল এস্টেট-২ শাখার পরিচালকের অফিস সহকারী জাফর সাদেক। ১৬ বছর ধরে এই পদে চাকরি করছেন তিনি। সর্বসাকুল্যে তার বেতন ৪০ হাজার টাকা। তবে আফতাবনগর আবাসিক এলাকার ডি ব্লকের ১ নম্বর সেক্টরের ৫ নম্বর রোডের ২৯ নম্বরে নূর আহমেদ ভিলা নামে আটতলা বাড়িটি তার। এ ছাড়া তার স্ত্রীর নামে নগরীর শান্তিনগরের মেহমান টাওয়ারে ১ হাজার ৬শ বর্গফুটের ফ্ল্যাট রয়েছে। তিনি অবৈধভাবে রাজউকের প্লট বিক্রি, নকশা পাস ও অনুমোদন করিয়ে এই অঢেল সম্পদ গড়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
গত মঙ্গলবার আফতাবনগর ও শান্তিনগরে বিশেষ অভিযান চালায় দুদকের একটি দল। সহকারী পরিচালক নেয়ামুল আহসান গাজীর নেতৃত্বাধীন দলটির সরেজমিন অভিযানেও রাজউক কর্মচারীর নামে ওইসব সম্পদ থাকার প্রমাণ মিলেছে। তবে দুদক কর্মকর্তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে আগেই কর্মস্থল থেকে পালিয়ে যান জাফর সাদেক।
গতকাল বুধবার দুদক উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক আমাদের সময়কে বলেন, দুদকের অভিযান টিম অভিযোগ সংশ্লিষ্ট জাফর সাদেককে তার কর্মস্থলে পায়নি। এমনকি তার সহকর্মীরাও এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেননি। এরপর দুদক টিম তার অবৈধ সম্পদের সন্ধানে আফতাবনগর ও শান্তিনগরে যায়। সেসব স্থানে তার সম্পদের অস্তিত্ব থাকার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে। এ ছাড়া ওইসব এলাকার স্থানীয় লোকদের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সম্পদশালী বলে দুদক টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযান দল কমিশনের বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।
জাফর সাদেক ২০১৫ সালে আফতাবনগরে ৭২ লাখ টাকায় ওই প্লটটি কিনেছিলেন। এরপর ২০২০ সালে দেড় কোটি টাকা ব্যয় করে আটতলা বাড়িটি নির্মাণ করেন। এ ছাড়াও নয়াপল্টনের গাজী শপিং কমপ্লেক্সে তার নামে দোকান থাকারও অভিযোগ রয়েছে।