শনিবার, ০৬:২৩ অপরাহ্ন, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
সংসদে নারীর জন্য ১০০ আসন চান বদিউল আলম মজুমদার রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রতিবেশীদের আশানুরূপ সমর্থন পায়নি বাংলাদেশ ২৮ বছরে প্রথমবার কলকাতার বইমেলায় নেই বাংলাদেশ বাচ্চারা জীবন দেয় আর মুরব্বিরা পদ ভাগাভাগি করেন : হাসনাত পল্লবীতে দুই শিশুপুত্রকে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা ‘রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আলোচনায় প্রত্যাশিত অগ্রগতি নেই’ যে কারণে অপহরণ করা হয় আজিমপুরের সেই শিশুকে উত্তরবঙ্গের ৩ বিভাগে কি একজনও যোগ্য লোক নেই : সারজিস তিন শূন্যের ধারণার ওপর ভিত্তি করে পৃথিবী গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার কেউ যেন অর্থপাচার না করতে পারে সেই ব্যবস্থা করে যাবো : অর্থ উপদেষ্টা

গুচ্ছে ভোগান্তিই যেন নিয়তি

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৩
  • ৮৯ বার পঠিত

ভোগান্তি কমিয়ে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন এবং উচ্চশিক্ষার প্রথম ধাপকে মসৃণ করতে ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো ২০ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেন। তবে সাময়িক আশা জাগালেও এ গুচ্ছ প্রক্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের আস্থা অর্জন করতে পারেনি। শুরু থেকে আবেদনে জটিলতা, কেন্দ্র বিভ্রান্তি, বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে ফি প্রদানের নিয়মের ফারাকের মতো বিষয়গুলো ভোগান্তিতে ফেলেছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক এমনকি সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদেরও। দেখা গেছে, প্রথমবারের ভুলের পুনরাবৃত্তি হয়েছে এবারের দ্বিতীয়বারের গুচ্ছভর্তি প্রক্রিয়ায়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতা এবং গাফিলতিই এ ভোগান্তি বাড়ানোর জন্য দায়ী।

গুচ্ছের প্রথম আসরে অংশগ্রহণকারী, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আদীব জামান বলেন, ‘পুরো সিস্টেমটাই অসঙ্গতিতে ভরা, প্রথমবার হিসাবে ভুল ত্রুটি থাকতেই পারে। তবে দ্বিতীয়বারেও তারা সিস্টেম ঠিক করতে পারেনি। একেক ভার্সিটির মাইগ্রেশন সিস্টেম আলাদা এবং প্রসেস খুবই স্লো। কর্তৃপক্ষ নিজেদের মনমাফিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা খুবই হতাশার বিষয়।’

মো. একরাম হোসেন নামে একজন অভিভাবক বলেন, গুচ্ছভর্তিতে শুরু থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া চালু ছিল, তবে সপ্তম মাইগ্রেশনে এসে এটা বন্ধ করে কর্তৃপক্ষ হঠকারি সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে অনেক মেধাবীরা যোগ্যতা অনুযায়ী

বিশ্ববিদ্যালয় পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়। পরে আদালতের দ্বারস্থ হয়ে বিষয়টির সমাধান করতে হয়েছে। প্রতিবারেই যদি এ ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হয়, তা হলে তো এ পদ্ধতি চালু রাখার কোনো প্রয়োজন নেই।

গত বছরের ১ এপ্রিল আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হলেও নয় মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও এখনো ভর্তি প্রক্রিয়া স¤পন্ন হয়নি গুচ্ছভুক্ত বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়েরই। ফলে নতুন অধ্যয়নের সুযোগ পাওয়া ২১০০০ শিক্ষার্থীর ক্লাস কার্যক্রমের শুরু নিয়েও রয়েছে সংশয়। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত অবশিষ্ট ২১ বিশ্ববিদ্যালয়েই আসন ফাঁকা রয়েছে সর্বনিম্ন ২৫ থেকে সর্বোচ্চ ৫৩০টি পর্যন্ত। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন ফাঁকা রয়েছে ৩৫২টি, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৭৮টি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫২৯টি। এ ছাড়া কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৮টি, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২০০টি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১৮৯টি আসন ফাঁকা রয়েছে। গতবছরের মতো এবারও যদি আসন ফাঁকা রেখে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করে তা হলে তা চরম বৈষম্য বলে মন্তব্য করেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গুচ্ছ কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, ‘দ্রুত একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন বন্ধ করেছিলাম। তবে আদালতের নির্দেশে তা পুনরায় চালু করা হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২২ জানুয়ারি থেকে ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গুচ্ছ থেকে বের হয়ে আসার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে গুচ্ছভুক্ত একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. একেএম লুৎফর রহমান বলেন, শুরু থেকে গুচ্ছ ব্যবস্থার অসঙ্গতি দৃশ্যমান। একেক বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা একেক রকম যার ফলে সমন্বয়হীনতা থেকে যাচ্ছেই। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার ভোগান্তি কমাতে আমরা শিক্ষক সমিতির ৫ম সাধারণসভায় আগামী বছর গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এককভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হই।’

একই কথা বলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি জানান, গুচ্ছ পদ্ধতি শিক্ষক শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। প্রথবারের চেয়েও এবার দ্বিতীয় দফায় ভোগান্তি আরও বেড়েছে। আমরা শিক্ষক সমিতির নতুন এক্সিকিউটিভ বডির সাধারণসভায় বিষয়টি নিয়ে নতুনভাবে আলোচনা করব।

সার্বিক বিষয়ে জানতে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি গুচ্ছ প্রক্রিয়া নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com