আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ইউক্রেন আক্রমনের জন্য রাশিয়াকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা এবং যথাযথ ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন,ফ্রান্স, জার্মানিসহ ৯৪টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। চীন, উত্তর কোরিয়া, ইরান, সিরিয়া, বেলারুশসহ ১৪টি দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। আর বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মিসর, ব্রাজিল, ইসরাইলসহ ৭৩টি দেশ ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গের জন্য রাশিয়াকে অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। জাতিসঙ্ঘ সনদ, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনে হতাহত ও সম্পদ ধ্বংসের জন্য রাশিয়াকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধের জন্য আইনের আওতায় আনতে হবে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আক্রমণের পর জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা অধিকাংশ প্রস্তাবে বাংলাদেশ ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল। তবে ইউক্রেনে মানবিক সহায়তা পাঠানো এবং দেশটির চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করতে অনুষ্ঠিত গণভোটকে অবৈধ ঘোষণা করে আনা প্রস্তাব দু’টিতে বাংলাদেশ পক্ষে ভোট দিয়েছে। অন্যদিকে ভারত জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদ, সাধারণ পরিষদ ও মানবাধিকার কাউন্সিলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ওপর আনা প্রায় সবক’টি প্রস্তাবে ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল। ভারত বরং সঙ্কটকে কাজে লাগিয়ে রাশিয়া থেকে স্বস্তায় জ্বালানি তেল আমদানি, ডলারের পরিবর্তে রুপিতে আমদানি ব্যয় মেটানো ও দেশটির সাথে বাণিজ্য দ্বিগুণ করতে মনোনিবেশ করেছে। পাকিস্তানও জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদে রাশিয়ার বিপক্ষে আনা প্রায় সবক’টি প্রস্তাবে ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল।
জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাবের আইনগত বাধ্যবাধকতা না থাকলেও এর নৈতিক প্রভাব রয়েছে। কেননা বিশ্বের ১৯৩টি রাষ্ট্র এর সদস্য। অন্যদিকে ভেটো ক্ষমতার অধিকারী হওয়ায় জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনো প্রস্তাব পাস করা সম্ভব হয় না।