শুক্রবার, ০৮:২৭ অপরাহ্ন, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

বিএনপির আরেকটি সমাবেশ, আরেকটি পরিবহন ধর্মঘট

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০২২
  • ৬২ বার পঠিত

ফরিদপুর জেলা বাস শ্রমিক ও মালিকরা বলেছেন যে, তারা ১১ নভেম্বর থেকে ৩৮ ঘণ্টার দীর্ঘ ধর্মঘটে যাবেন, যদি তাদের ‘দাবি’ পূরণ না হয়। জনসাধারণ এখন খুব ভালোভাবে জানে যে সমাবেশকালীন ধর্মঘটের এটি হবে পঞ্চমবারের পুনরাবৃত্তি।

এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে বিরোধী দল বিএনপির ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ধারাবাহিক সমাবেশের পরবর্তী ষষ্ঠ বিভাগীয় সমাবেশ আগামী শনিবার ১২ নভেম্বর ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। যদিও আগের পাঁচটি সমাবেশ ইঙ্গিত দেয় যে এটি পুরো সপ্তাহ জুড়ে প্রভাব ফেলতে পারে।

১০ নভেম্বরের মধ্যে মহাসড়কে অবৈধ থ্রি-হুইলার ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধের অনুরোধ জানিয়ে জেলা মালিক-শ্রমিক যৌথ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নাসির সাক্ষরিত একটি চিঠি ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে পাঠানো হয়েছে।

অন্যথায় ১১ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে ১২ নভেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত ধর্মঘটে নামবেন বলে জানান তারা।

স্পষ্টতই ফরিদপুর পরিবহন খাতের স্টেকহোল্ডাররা পূর্ববর্তী সমাবেশগুলোর অভিজ্ঞতা থেকে উপলদ্ধি করেছেন আরো বেশি ব্যবসা এবং যাত্রী পেতে সমাবেশের দিন (শনিবার) রাত ৮টা থেকে পরিষেবাগুলো পুনরায় চালু করার একটি ভালো সময়।

ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল এবং রংপুরের মালিক-শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব করে এমন কোনো অ্যাসোসিয়েশন এখন পর্যন্ত এতে নিয়োজিত ছিল তাদের কোনোটিই সফলভাবে পূর্বঘোষিত সেবা চালুর ঘোষণা দিতে পারেনি। যা বিএনপির সমাবেশের শেষ হওয়ার সময় নির্ধারণ বা শেষ হওয়ার আশা করা যেতে পারে।

ধর্মঘটের সময় ফরিদপুর জেলা বাস টার্মিনাল থেকে কোনো আঞ্চলিক, দূরপাল্লার বাস বা মিনি বাস ছাড়বে না বলে জানান তারা।

এদিকে ফরিদপুর মাহেন্দ্র (থ্রি-হুইলার) শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম বলেন, তাদের যানবাহন এমনকি মহাসড়কে চলাচল করে না, বরং তারা পার্শ্ব সড়কে প্রবেশের জন্য প্রয়োজনীয় অংশ ব্যবহার করে।

তিনি বলেছিলেন, ‘কেন হঠাৎ করে থ্রি-হুইলার বন্ধ রাখার দাবি জানাচ্ছেন বাস মালিকরা? আমরা বুঝি না। আমরা দরিদ্র মানুষ এবং তাদের দাবির পিছনে তাদের রাজনীতি নেই।’

ফরিদপুর জেলা মাইক্রোবাস শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: মিলন বেপারী জানান, তারা কোনো ধর্মঘটের নোটিশ পাননি। এখন পর্যন্ত, তারা ১১ এবং ১২ নভেম্বর উভয় রাস্তায় থাকার পরিকল্পনা করেছে। কোথাও না কোথাও কঠোর প্রচারণা চালাচ্ছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ফরিদপুর সমাবেশের সমন্বয়কারী শামা ওবায়েদ বলেন, তারা আগের অভিজ্ঞতা থেকে জানতেন যে এ ধরনের হরতাল ঠিকই আসবে। এটা বড় সময় আসছে। ঘোষণা করা হবে এবং সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নেয়া হবে।

শামা বলেন, ‘প্রয়োজনে মানুষ ট্রলারে, ভেলায় করে বা মাইলের পর মাইল দূরবর্তী জায়গা থেকে পায়ে হেঁটে সমাবেশে যোগ দেবে।’

সাংবাদিকদের নিশ্চিত করা হয়েছে তারা কতটা আত্মবিশ্বাসী।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com