বগুড়ার সান্তাহারে রেলওয়ে জংশন স্টেশনে সূর্যাস্তের সময় হলেই চড়ুই পাখিদের ঘরে ফেরা শুরু হয়। এ সময় চড়ুই পাখিদের মনোমুগ্ধকর ডাকে মুদ্ধ হন অপেক্ষারত ট্রেনযাত্রী, পথচারী ও আশপাশের মানুষজন।
সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনে অবস্থিত বিভিন্ন জাতের গাছে রয়েছে হাজার-হাজার চড়ুই পাখির বসবাস। প্লাটফর্ম ও স্টেশন এলাকায় প্রায় সবগুলো গাছেই রয়েছে এই পাখিগুলোর বসবাস। পাখিদের কেউ শিকার বা বিরক্ত না করায় রেলস্টেশনটি হয়ে উঠেছে তাদের অভয়ারণ্য। প্রভাতের প্রথম আলোয় খাবারের খোঁজে বেরিয়ে যায় এসব পাখিগুলো এবং সারাদিন পরে সান্ধ্যার গোধূলি লগ্নে একসাথে কয়েক হাজার পাখির ঘরে ফেরা। সন্ধ্যার সময় পাখিদের এই গাছ গুলোতে ফেরার সময় তাদের মনোমুগ্ধকর ডাক এবং পাখির আগমন দেখার জন্য স্টেশনে যান অনেক দর্শনার্থীরা।
সান্তাহার প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিক সাগর খান বলেন, ‘আমাদের প্রেসক্লাবের অবস্থান স্টেশনের পাশে হওয়ায় প্রায় প্রতিদিনই এ সুন্দর দৃশ্যটি দেখার সুযোগ হয়, বিশেষ করে রাতে ল্যাম্পপোস্টের আলোয় এসব গাছের দিকে তাকালে মনে হয় গাছে যেন ধরে রয়েছে অজস্র ফল। এসব পাখিদের যাতে কেউ বিরক্ত করতে না পারে সে বিষয়ে রেলওয়ে জি আর পি থানা প্রশাসন, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্টেশনের আশপাশে অবস্থানকারী ব্যক্তিরা সবসময় লক্ষ্য রাখেন। ফলে পাখিদের কেউ বিরক্ত না করায় দিন দিন স্টেশনের প্রতিটি গাছেই বৃদ্ধি পাচ্ছে চড়ুই পাখির সংখ্যা।‘
সান্তাহার স্টেশন মাস্টার (গ্রেড-১) রেজাউল করিম ডালিম জানান, ‘পাখিদের প্রতি রয়েছে আমার ভালোলাগা ও ভালোবাসা। স্টেশনে এত পাখি দেখতে আমার নিজেরও খুব ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি যাতে এই পাখিগুলোকে কেউ বিরক্ত বা শিকার করতে না পারে।’
সান্তাহার রেলওয়ে জি আর পি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাকিউল আযম বলেন, ’পাখি ভালো লাগে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আমি ও আমার থানার সকল সদস্যরা সার্বিক দৃষ্টি রাখি যাতে এই সৌন্দর্য কেউ নষ্ট করতে না পারে।’