আজ ২৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের সংবাদিকতা জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র, বিবিসিখ্যাত তারকা সাংবাদিক আতাউস সামাদের দশম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১২ সালের এ দিনে মৃত্যুর আগে জীবনের শেষদিনগুলোতে তিনি দৈনিক আমার দেশ-এর উপদেষ্টা সম্পাদক হিসেবে সাংবাদিকতায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন।
মরহুমের স্মরণে আজ বেলা ১১টায় ‘আতাউস সামাদ স্মৃতি পরিষদ’র উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে। সাংবাদিক আতাউস সামাদ ছিলেন বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ এবং একজন খাঁটি ওয়াচডগ (সতর্ক প্রহরী)। তাঁর ডাকনাম ছিল খোকন। মানুষ হিসেবেও তিনি ছিলেন খোকনের মতোই সহজ, সরল, প্রাণখোলা।
আতাউস সামাদ যেভাবে প্রতিবেদন তৈরি করতেন তা সত্যিই অনুকরণীয়। স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার কারণে তাকে জেলও খাটতে হয়েছে। আমাদের বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় আতাউস সামাদের খুব বেশি প্রয়োজন ছিল। তিনি সব সময় দেশ ও মানুষের কথা ভাবতেন। আতাউস সামাদ সাংবাদিকতার শিক্ষক ছিলেন l তার অকুতোভয় ও সাহসী লেখনী বাংলাদেশের মানুষ সারাজীবন মনে রাখবে।
১৯৫৯ সালে সাংবাদিকতা শুরু করার পর আতাউস সামাদকে তার জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটাতে হয়েছিল সামরিক ও স্বৈরশাসনের অধীনে। প্রথমে (১৯৬৯ সালের মার্চ পর্যন্ত) পাকিস্তানের তথাকথিত ‘লৌহ মানব’ প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের এবং পরবর্তীকালে (১৯৮২ থেকে ১৯৯০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত) জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আমলে। শ্বাসরুদ্ধকর সেই বছরগুলোতে দুর্দান্ত সাহসী ছিল আতাউস সামাদের ভূমিকা।