বুধবার, ১১:৪৫ অপরাহ্ন, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২২শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
ভারতের ওপর ট্রাম্পের ৫০ শতাংশ শুল্ক, নয়াদিল্লির বিবৃতি আ. লীগ কর্মীদের ‘গেরিলা প্রশিক্ষণ’, মেজর সাদিকের স্ত্রী আটক জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে ইসিকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের চিঠি জুলাই কারাবন্দীদের তালিকা করবে সরকার দেশে নির্বাচনে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই, দাবি চরমোনাই পীরের গণতন্ত্রের প্রশ্নে দলগুলোর যেন মুখ দেখাদেখি বন্ধ না হয়: তারেক রহমান এসপি-ওসিদের লটারির মাধ্যমে বদলি করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দায়িত্ব পালনে অবহেলায় এসিল্যান্ডদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪২৮ দলকে না জানিয়ে কক্সবাজারে, ৫ নেতাকে শোকজ এনসিপির

সাংবাদিকতার শিক্ষকদের শিক্ষক ছিলেন আতাউস সামাদ, আজ স্মরণ সভা

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১৬৪ বার পঠিত
আজ ২৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের সংবাদিকতা জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র, বিবিসিখ্যাত তারকা সাংবাদিক আতাউস সামাদের দশম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১২ সালের এ দিনে মৃত্যুর আগে জীবনের শেষদিনগুলোতে তিনি দৈনিক আমার দেশ-এর উপদেষ্টা সম্পাদক হিসেবে সাংবাদিকতায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন।
মরহুমের স্মরণে আজ বেলা ১১টায় ‘আতাউস সামাদ স্মৃতি পরিষদ’র উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে। সাংবাদিক আতাউস সামাদ ছিলেন বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ এবং একজন খাঁটি ওয়াচডগ (সতর্ক প্রহরী)। তাঁর ডাকনাম ছিল খোকন। মানুষ হিসেবেও তিনি ছিলেন খোকনের মতোই সহজ, সরল, প্রাণখোলা।
বরেণ্য এ সাংবাদিক নিরপেক্ষ ছিলেন না, তিনি ছিলেন ‘সত্যের’ পক্ষে। মানুষের পক্ষে। গণতন্ত্রের পক্ষে। বাংলাদেশের পক্ষে। সততা ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় তিনি এ দেশের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সৎ সাংবাদিকতার পথিকৃত ছিলেন, অন্যের দ্বারা প্রভাবিত বা আবেগ দ্বারা তাড়িত হতেন না তিনি। ঘটনার ভেতরের ঘটনা বের করে আনতে পারতেন। অনুসন্ধানী ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় আতাউস সামাদের জুড়ি ছিল না। তার কোনো প্রতিবেদন নিয়ে বিতর্ক হয়নি, তিনি জীবনভর সুনাম বজায় রেখে সাংবাদিকতা করেছেন। সাংবাদিক আতাউস সামাদ স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যেমন সোচ্চার ছিলেন তেমনি বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার প্রশ্নে কখনও আপোস করতেন না।
আতাউস সামাদ যেভাবে প্রতিবেদন তৈরি করতেন তা সত্যিই অনুকরণীয়। স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার কারণে তাকে জেলও খাটতে হয়েছে। আমাদের বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় আতাউস সামাদের খুব বেশি প্রয়োজন ছিল। তিনি সব সময় দেশ ও মানুষের কথা ভাবতেন। আতাউস সামাদ সাংবাদিকতার শিক্ষক ছিলেন l তার অকুতোভয় ও সাহসী লেখনী বাংলাদেশের মানুষ সারাজীবন মনে রাখবে।
১৯৫৯ সালে সাংবাদিকতা শুরু করার পর আতাউস সামাদকে তার জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটাতে হয়েছিল সামরিক ও স্বৈরশাসনের অধীনে। প্রথমে (১৯৬৯ সালের মার্চ পর্যন্ত) পাকিস্তানের তথাকথিত ‘লৌহ মানব’ প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের এবং পরবর্তীকালে (১৯৮২ থেকে ১৯৯০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত) জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আমলে। শ্বাসরুদ্ধকর সেই বছরগুলোতে দুর্দান্ত সাহসী ছিল আতাউস সামাদের ভূমিকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com