এশিয়ান দেশগুলোর বিপক্ষে বাংলাদেশের খেলা মানেই টানটান উত্তেজনা আর ভিন্ন অনুভূতির ছোঁয়া। আর আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেই রোশনাই যেন আরো বেড়ে যায়। এক দিনের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দাপট ধরে রাখলেও, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আফগানিস্তান বরাবরই এগিয়ে। চলুন দেখে আসি, দুই দলের মুখোমুখি পরিসংখ্যান-
দুই দল এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মুখোমুখি হয়েছে ৮ বার। যেখানে ৫ জয় পেয়েছে আফগানিস্তান, ৩ জয় বাংলাদেশের। আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র ১ ম্যাচে, আফগানিস্তানের আগে ব্যাট করে জয় ৩টি। পরে ব্যাট করে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের জয় সমান ২টি ম্যাচে।
ইনিংস প্রতি আফগানিস্তানের গড় রান ১২৯, বিপরীতে বাংলাদেশের গড় রান ১২৮। যেখানে আগে ব্যাট করে টাইগারদের গড় ১৩৪.৭, সেখানে আফগানদের গড় ১৩৭.২। আর পরে ব্যাট করা ম্যাচে বাংলাদেশের গড় ১২৪.৪। আফগানিস্তানের গড় ১১৬.৭। ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ১৫৫, আফগানিস্তানের ১৬৭।
এবার ফিরি ব্যক্তিগত অর্জনে। দুই দলের লড়াইয়ে কোন যোদ্ধারা আছেন শীর্ষে। যাহোক, দুই দলের লড়াইয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার উপরের দুই নাম বাংলাদেশের দুই ভাইরা-ভাইয়ের। মাহমুদউল্লাহ সংগ্রহে সর্বোচ্চ ১৬৯ রান। ১৪৯ রান নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে মুশফিক। আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নাবি আছেন ৩ নাম্বারে, তিনি করেছেন ১৪১ রান। ১৩৭ রান নিয়ে চতুর্থ স্থানে সাকিব আল হাসান।
সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নাবির। ৮৪* রানের অপরাজিত ইনিংস আছে তার দখলে। অপরাজিত ৭০* রান নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে সাকিব আল হাসান। মিনিমাম ১০০ রান করেছেন, এমন ক্রিকেটারদের মাঝে সর্বোচ্চ স্ট্রাইকরেট নাবিরই, ১২৮। ১২৬ স্ট্রাইকরেটে দ্বিতীয় স্থানে জাজাই। তিন নাম্বারে আছেন মাহমুদউল্লাহ, তার স্ট্রাইকরেট ১২১.৫৮।
সর্বোচ্চ ব্যাটিং গড়েও এগিয়ে আফগানরা। সামিউল্লাহ শিনওয়ারির গড় ৩৯.৬৭। দ্বিতীয় স্থানে থাকা জাজাইয়ের গড় ৩৭.৬৭। তালিকার পঞ্চম স্থানে থাকা বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ গড় মুশফিকের, ২৪.৮৬।
উইকেটের দৌড়ে ১৪ উইকেট নিয়ে সবার আগে রাশিদ খান। ১০ উইকেট নিয়ে দুইয়ে সাকিব আল হাসান। তিনে থাকা মুজিবের উইকেট ৭টি। সেরা বোলিং ফিগার নাসুম আহমেদের ৪/১০। রাশিদ খানের আছে ১২ রানে ৪ উইকেট। ১৫ রানে ৪ উইকেট আছে মুজিবুর রহমানেরও।
ইকোনমির সেরা তালিকায় আছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ওভার প্রতি দিয়েছেন ৪ রান। নাবিন উল হকের ইকোনমি ৫ ও নাসুম আহমেদের ৫.০৯।