সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের সুহৃদ দেশনেত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পরিপূর্ণ সুস্থতা ও শর্তহীন মুক্তি কামনা করছি। তাঁর মুক্তি ছাড়া গণতন্ত্র ও সংবাদমাধ্যম শৃঙ্খলমুক্ত হবে না।
কেন তিনি সংবাদমাধ্যমের সুহৃদ:
১। তাঁর সময়ে সাংবাদিকতার জন্যে কোন গণমাধ্যম বন্ধ করা হয়নি। অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করেছে।
২।তাঁর দশ বছরের শাসনে কোন সম্পাদক, সাংবাদিক গ্রেফতার হননি, রিমান্ডে নির্যাতিত হননি, বানোয়াট হত্যা মামলাসহ দেশজুড়ে সিরিজ মামলার আসামি হননি।
৩।তাঁর সময়ে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় মাতৃভূমি ছেড়ে ডজন ডজন সাংবাদিক নির্বাসিত জীবন বেচে নিতে বাধ্য হননি।
৪। তাঁর সময়ে সাংবাদিকেরা নিয়ত গুম-খুন-নির্যাতনের আতঙ্কে ভুগেননি।
৫। সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে তিনি কোন কালাকানুন করেননি।
৬। তিনি সংবাদমাধ্যমকে নিজের ও দলের দাসত্ব করতে বাধ্য করেননি।
৭। তিনি মিরপুর ডিওএইচএস- এর কাছে সাংবাদিকদের আবাসনের জন্যে ৭ একর জমি বরাদ্দ দিয়েছেন।
৮। তিনি সাংবাদিকদের গর্বের প্রতিষ্ঠান জাতীয় প্রেসক্লাবের জন্যে বিনামূল্যে এক একর জায়গা রেজিষ্ট্রেশন করে দিয়েছেন। শহীদ জিয়া বর্তমান স্থানে জায়গা বরাদ্দ ও ভবন করে দিলেও জমির পরিমান কম ছিল এবং পূর্ণাঙ্গ মালিকানা প্রতিষ্ঠিত ছিল না।
৯। তিনি দলমত নির্বিশেষে সংবাদপত্রের ডিক্লেয়ারেশন দিয়েছেন। দলীয়করণ করেননি। সমকালসহ অনেক বৈরী মতের দৈনিক তাঁর সময়ে ডিক্লেয়ারেশন পেয়েছে।
১০। তিনি সংবাদ সম্মেলনে ভিন্নমতের সাংবাদিকদের কখনও নাজেহাল করেননি, নিষিদ্ধ করেননি।
১১। তিনি নিজের অফিস ও বাসায় কোন পত্রিকা বা টিভি’র প্রবেশ নিষিদ্ধ করেননি।
১২। তিনি ভিন্ন মতের পত্রিকার তারকা সম্পাদককেও মোটা অংকের সহায়তা দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা করিয়ে সংকটাপন্ন অবস্থা থেকে ফিরিয়েছেন।
১৩। তিনি প্রথম একসঙ্গে ১০টি বেসরকারি টেলিভিশনের লাইসেন্স দিয়ে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কয়েক হাজার সংবাদ কর্মীর কর্মসংস্থান করেছেন।