ইউক্রেনের কর্মকর্তারা মঙ্গলবার বলেছেন, রুশ বাহিনী সেভেরোদোনেস্কের সাথে সংযোগকারী শেষ অবশিষ্ট সেতুটি ধ্বংস করেছে। এটি ছিল পূর্বাঞ্চলের শহরটিতে রয়ে যাওয়া বেসামরিক মানুষদের সরিয়ে নেয়ার একটি পথ এবং সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দু।
ইউক্রেনের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, রুশ সৈন্যরা পূর্বাঞ্চলীয় শহর সেভেরোদোনেস্কের কেন্দ্রে আক্রমণ করেছে এবং শত শত সৈন্য ও বেসামরিক মানুষের আশ্রয় হিসেবে ব্যবহৃত একটি রাসায়নিক কারখানায় গোলাবর্ষণ করেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি বলেছেন, ডনবাস অঞ্চলের যুদ্ধ ‘নিশ্চয়ই সামরিক ইতিহাসে ইউরোপের সবচেয়ে হিংসাত্মক একটি যুদ্ধ হিসেবে নাম লেখাবে।’
তিনি রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য ইউক্রেনকে আধুনিক আর্টিলারি পাঠানোর জন্য মিত্র দেশগুলোর কাছে বারবার আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার জেলেন্সকির উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক বলেছেন, ইউক্রেন আরো সামরিক সহায়তার সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছে। যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন কন্টাক্ট গ্রুপের অংশগ্রহণকারীরা বুধবার ব্রাসেলসে ন্যাটো সদর দফতরে বৈঠক করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ন্যাটো সদর দফতরে এই বৈঠকের আহ্বান করেছেন। গত মাসে গোষ্ঠীটির একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে ৪৭টি দেশ, ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছিলেন।
ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সোমবার বলেছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সেভেরোদোনেস্কের চারপাশে ‘সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে।’
রাশিয়া দাবি করেছে, তারা ইতোমধ্যে লুহানস্ক প্রদেশের ৯৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছে। সেভেরোদোনেস্ক লুহানস্ক প্রদেশে অবস্থিত।
রাশিয়া ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেয় এবং কিয়েভের বাহিনী তখন থেকে ডনবাস অঞ্চলের রাশিয়াপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে লড়াই করছে।