স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতেই অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন হলে ‘জাতীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবায় ১১ হাজার ডায়াগনস্টিক সেন্টার কাজ করছে। এর মধ্যে অনেক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এদের কারণে যাতে সাধারণ মানুষ প্রতারিত না হয় সেদিকে আমরা নজর দিচ্ছি। আমাদের উদ্দেশ্য কাউকে হেনস্তা করা নয়, স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়ানো।’
জাহিদ মালেক বলেন, অভিযানের লক্ষ্য হচ্ছে মানহীন প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া, অথবা সতর্ক করে দেয়া যাতে তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিক করে নিতে পারে। বেসরকারি খাতের হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ব্লাড ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে জনগণ যেন প্রতারিত ও ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।
করোনা নিয়ন্ত্রণ ও টিকাদানের মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা বেড়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশের প্রায় ৭৫ ভাগ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো আট থেকে ১০ কোটি মানুষ বুস্টার ডোজের বাইরে। আগামী ৪ জুন থেকে বুস্টার ডোজের ক্যাম্পেইন শুরু হবে। বুস্টার ডোজ নিয়ে আমরা আরও সুরক্ষিত থাকবো।
বর্তমানে স্বাস্থ্যসেবায় জনবল অনেক বেড়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে মন্ত্রণালয়ে তিন লাখ জনবল নিয়ে কাজ করছে। জনবল বৃদ্ধি করে আমরা সেবার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। বর্তমানে ৫টি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, আগে যেখানে একটিও ছিল না। অনেক হাসপাতাল এখন ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় এসেছে। আগামীতে সব হাসপাতালকেই এর আওতায় আনতে হবে। সফলতার সঙ্গে করোনা মোকাবিলা করেছি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সক্ষমতায় বিশ্বে করোনা মোকাবিলায় আমরা পঞ্চম ও দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম হয়েছি।