বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ঝাঁক বেঁধে নেমে এ সরকারকে ধাক্কা মেরে ফেলে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করে, একটি স্বচ্ছ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১ আয়োজিত ‘নির্বাচন কমিশন গঠনের নাটক এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন’শীর্ষক আলোচনা সভায় রিজভী এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই সার্চ কমিটি হুদা কমিশনের চাইতেও বড় কোনো বেহুদা কমিশন বানানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ চেষ্টা চালানোর মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে, এদেশের জনগণকে শোষণ করবে। শুধু তাই নয়, আরও অনেক টাকা বিদেশে পাচার হবে। নির্বাচন কমিশনের একজন সদস্য মাহবুব তালুকদার শুদ্ধ উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘গণতন্ত্র একটা লাশ’। শুধু লাশ নয় কঙ্কাল হয়ে গেছে। গণতন্ত্রের লাশ শুকিয়ে কঙ্কাল হয়ে গেছে। এরপরে মাটির সঙ্গে মিশে যাবে, গণতন্ত্রের কঙ্কালের হাড়-গোড়। সেই পরিস্থিতি তারা তৈরি করছে।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনার বলেছেন তাঁর কোনো ব্যর্থতা নেই। ঠিকই বলেছেন তিনি। আপনার ব্যর্থতা না সফলতা সেটা জনগণ তাদের কাঠগড়ায় লিপিবদ্ধ করে রেখেছে। আমি মনে করি সিইসি নূরুল হুদার কোনো ব্যর্থতা নেই, তিনি সফল। কারণ ইভিএম মেশিন কিনতে যে শত শত কোটি টাকা দুর্নীতির সফলতা, এটাতো হুদা সাহেবের সফলতা। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য বিশেষ বক্তব্যের আয়োজনে কোটি কোটি টাকা খরচ করে যে দুর্নীতি হয়েছে, সে সফলতা তো নূরুল হুদার সফলতা। তিনি নির্বাচন কমিশনে চাকরি করে শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন, সেটা তো তার সফলতা। সুতরাং তার কোনো ব্যর্থতা নেই।
১০ বছর ধরে দুজন হুদা গোটা জাতিকে বেহুদা বানানোর চেষ্টা করেছে মন্তব্য করে সাবেক এ ছাত্রনেতা বলেন, একজন হচ্ছে রকিবুল হুদা, আরেকজন নূরুল হুদা। একজন ১৫৩ জনকে বিনা ভোটে নির্বাচিত করিয়েছে। আরেকজন নিশিরাতে ভোট করেছে। এই নূরুল হুদা চমৎকার মডেল আবিষ্কার করেছে, কীভাবে দিনের ভোট রাতে করতে হয়।